ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ে সফরে বড় ক্ষতিই হয়ে গেল। প্রতিটি ম্যাচে গড়ে দুজন করে চোটে পড়েছে’—গতকাল বিসিবি সভাপতির সঙ্গে বৈঠকের পর হতাশ কণ্ঠে এমনটাই বলেছিলেন এক নির্বাচক। সর্বশেষ দুই সফরে চোটে পড়েছেন বাংলাদেশ দলের সাত-আট ক্রিকেটার। এরই মধ্যে এশিয়া কাপ শেষ তিন খেলোয়াড়ের।
বড় টুর্নামেন্টের আগে দলের নিয়মিত ক্রিকেটারদের এমন চোটাঘাত চিন্তা বাড়াচ্ছে বিসিবির। গতকাল এশিয়া কাপের দল ঘোষণার কথা থাকলেও এখন সেটি আগামীকাল দুপুরে করার চিন্তাভাবনা বোর্ডের। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু হাতে থাকা একটি কাগজ তুলে ধরে বলেছিলেন, ‘চোটের তালিকা এত বড় হয়েছে যে সেটা পড়ার জন্য হলেও পরশু (আগামীকাল) আপনাদের সামনে (সাংবাদিকদের) আসতে হবে।’
গত দুই সফরে চোটে পড়েছেন ইয়াসির আলী রাব্বি, নুরুল হাসান সোহান, লিটন দাস, মোস্তাফিজুর রহমান, মুশফিকুর রহিম ও শরীফুল ইসলাম। তাঁদের মধ্যে এশিয়া কাপে খেলা হচ্ছে না লিটন, সোহান ও রাব্বির। বাকিরা চোট থেকে সেরে ওঠায় তাঁদের ঘিরে আপাতত সংশয় নেই। তবে নিয়মিত ক্রিকেটারদের চোটাঘাতের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বেশ কয়েকজনের ছন্দ হারিয়ে ফেলা। আর তাতেই বিকল্প নিয়ে ভাবতে হচ্ছে নির্বাচকদের।
গত বৃহস্পতিবার বোর্ড সভায় এশিয়া কাপের জন্য একটি দল তৈরি করে উপস্থাপন করেছিলেন নির্বাচকেরা। দুই দিন না যেতেই দলে একের পর এক চোটাঘাত আর ক্রিকেটারদের বাজে পারফরম্যান্সে নতুন করে দল নিয়ে ভাবতে হচ্ছে নির্বাচকদের। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের পর জিম্বাবুয়েতেও রান না পাওয়ায় এশিয়া কাপে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে রাখার পক্ষে নন বিসিবির বেশির ভাগ কর্মকর্তা। লিটন-সোহান ছিটকে যাওয়ায় এখন সৌম্য সরকার ও সাব্বির রহমানকেও বিবেচনায় রাখার পরামর্শ তাঁদের। তবে উইন্ডিজে ‘এ’ দলের হয়ে নিজেদের প্রমাণ করতে হবে সৌম্য-সাব্বিরকে। গতকাল ওয়ানডে দলে যোগ দিতে উইন্ডিজে রওনাও দিয়েছেন দুজন।