৩৩/১১ কেভি ক্যাচিং ঘাটা সাব-স্টেশন থেকে বিদ্যুৎ নিচ্ছে ১১ কেভির ডালুপাড়া সাব-স্টেশন। এই সাব-স্টেশনের অধীনে ডালুপাড়া, ক্যামলং, কুহালং, বাকিছড়া, ডাকবাংলা, ট্যাংখালি, আমতলিপাড়া, রাজভিলা, সুখ বিলাস, ডদালবানয়ায় বিদ্যুৎ বিতরণ করা হয়। বান্দরবনের এই দুর্গম এলাকায় দুপুর ১টা থেকে দুটা এবং ৫টা থেকে ৬টা প্রতিদিন বিদ্যুৎ থাকবে না। এই শিডিউল ধরেই প্রতিদিন লোডশেডিং হবে। অর্থাৎ কখন মানুষ বিদ্যুৎ পাবে না সেটি আগে জানার কারণে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে পারছে। শুধু ঢাকা নয় বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকটের কারণে শিডিউল লোডশেডিং করা হচ্ছে। এতে বান্দরবানের দুর্গম এলাকার মানুষ দিনের নির্দিষ্ট সময়ে যতটুকু বিদ্যুৎ কম পাচ্ছে, একইভাবে ঢাকার মানুষও তাই পাচ্ছে। বিতরণ পরিস্থিতির এই শিডিউল প্রথা নতুন পথ দেখাচ্ছে।
এক সময়ে শিডিউল লোডশেডিংয়ের ধারণা বাস্তবায়ন সম্ভব নয় বলে মনে করা হচ্ছিলো। কিন্তু এরমধ্যে শিডিউল লোডশেডিং প্রথাকে বাস্তবায়ন করেছে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলো।
বড় কোনও সমস্যা না হলে রাজধানী ঢাকায় শিডিউল ভেঙে লোডশেডিং করা হয় না। তবে সমালোচনা রয়েছে আরইবিকে নিয়ে। শিডিউল লোডশেডিংয়ের বাইরেও তারা লোডশেডিং করছে। এই লোডশেডিং কেন করা হচ্ছে সে বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, আরইবির কোনও ফিডারে বিতরণ ত্রুটি দেখা দিলে সেগুলো নির্দিষ্ট সময়ে আবার চালু করা হচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে আরইবির টিম খবর পাচ্ছে পরে। খবর পাওয়ার পর তারা গিয়ে মেরামত করতে সময় প্রয়োজন হচ্ছে। যেহেতু এখন সবার হাতেই মোবাইল ফোন রয়েছে বিদ্যুৎ চলে গেলেই মানুষ ফোন দিচ্ছে। তখন বলে দেওয়া হচ্ছে লোডশেডিং হয়েছে। যেহেতু লোডশেডিং একটা পরিচিত শব্দ পেয়েছে তাই বলা হচ্ছে। এতে সরকারের সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।