ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) কাছ থেকে কম দামের পণ্য কিনতে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় শ্যামলীর বাবর রোডে এক পরিবেশকের দোকানে আসেন গৃহবধূ রিনা আক্তার। তিনি পাঁচ সদস্যের পরিবার নিয়ে থাকেন রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বিহারি ক্যাম্প এলাকায়। প্রায় আধা ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে তিনি দুই লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল, দুই কেজি মসুর ডাল, এক কেজি চিনি ও দুই কেজি পেঁয়াজ কিনেছেন। পণ্য নিয়ে ফেরার পথে কথা হয় রিনা আক্তারের সঙ্গে। তিনি জানালেন, যা পণ্য পেয়েছেন, তা দিয়ে অর্ধেক মাস চলবে। এরপর আবার বাজার থেকে বেশি দামে পণ্য কিনতে হবে।
শ্যামলীতেই কথা হয় টিসিবির পণ্য কিনতে আসা নিম্ন আয়ের আরও চারজনের সঙ্গে। তাঁরাও জানালেন, টিসিবির কাছ থেকে কম দামে পণ্য কিনতে পেরে তাঁদের কিছু উপকার হয়েছে, এটা সত্য। কিন্তু টিসিবি যে পরিমাণ পণ্য দেয়, তাতে মাস চলে না। এ জন্য তাঁরা ভর্তুকি মূল্যে আরেকটু বেশি পরিমাণে পণ্য দেওয়ার দাবি জানান।
বাবর রোড থেকে এই প্রতিবেদক টিসিবির পরিবেশকের খোঁজে যান মোহাম্মদপুরের বায়তুল সালাহ মসজিদ এলাকায়। তখন সকাল পৌনে ১১টা। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, এক পরিবেশকের দোকানের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে শতাধিক ক্রেতা। তাঁদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তাঁরাও দাবি করেন, টিসিবির দেওয়া পণ্যের পরিমাণ বাড়ানোর। যাতে কয়েক সদস্যের পরিবারের মাস চলে যায়। তাহলে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এ সময়ে বাজার খরচে কিছুটা সাশ্রয় হতো।
পণ্য কিনতে মোহাম্মদপুর বায়তুল সালাহ মসজিদ এলাকায় আসা রিকশাচালক লোকমান হোসেন জানান, তাঁর বাসায় চিনির ব্যবহার কম। এ জন্য এক কেজি চিনিতে মাস পার হয়ে যায়। কিন্তু অন্য পণ্যে অর্ধেক মাসও যায় না।