এরই মধ্যে আইএমএফের একটি উচ্চ পর্যায়ের টিম (আইএমএফ স্টাফ ভিজিট মিশন-২০২২) বাংলাদেশ সফর করেছেন এবং ব্যাংক খাতে সংস্কারের অগ্রগতি জানতে গিয়ে সরকারি ব্যাংকে উচ্চ খেলাপি ঋণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের উচ্চ খেলাপি ঋণ কমাতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তাও জানতে চেয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের হিসাব পদ্ধতি নিয়ে ফের আপত্তি তোলে আইএমএফ।
তাদের মতে, রিজার্ভের অর্থে গঠিত রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলসহ (ইডিএফ) বিভিন্ন ঋণ তহবিল গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক, যা এখনো রিজার্ভেই দেখানো হচ্ছে। অথচ এগুলো নন লিকুইড সম্পদ বা ইনভেস্টমেন্ট গ্রেড সিকিউরিটিজ। সংস্থাটির ব্যালেন্স অব পেমেন্ট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন (বিপিএম-৬) ম্যানুয়াল অনুযায়ী, এসব দায় রিজার্ভ হিসাবে বিবেচিত হবে না। এতে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, দুটি পদ্ধতিতে রিজার্ভ হিসাব করে থাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক: একটি হলো গ্রস হিসাব এবং আরেকটি নিট হিসাব। নিট হিসাবে রিজার্ভ থেকে বিভিন্ন ঋণ তহবিল বাদ দেওয়া হয়। তবে আগামীতে আইএমএফের ম্যানুয়াল মেনেই রিজার্ভের হিসাব দেখানো হবে বলে একমত হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।