নির্বাচন কমিশনের সংলাপ ও কতিপয় সুপারিশ

দৈনিক আমাদের সময় প্রকাশিত: ২৫ জুলাই ২০২২, ১৬:০০

হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে গঠিত নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যেই দ্বিতীয়বারের মতো ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা বা সংলাপে বসেছে। এর আগেও নাগরিক সমাজ, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক, সাবেক নির্বাচন কমিশনার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেছেন। যদিও আমার সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনা হয়নি দেশের বাইরে থাকার কারণে। তবে স্বভাবত কারণেই যতদূর সম্ভব নিজের মতো করে অতীতের এবং বর্তমানের সংলাপের বিষয় জানতে চেষ্টা করেছি। যতটুকু জেনেছি তাতে এসব সংলাপ থেকে নির্বাচন কমিশন আগামী নির্বাচনের জটিলতা নিরসন বা স্বচ্ছ ভোটগ্রহণের সদিচ্ছা পোষণ করলেও সে পথে আলোচনা করেছেন বলে মনে হয়নি। কারণ প্রথম থেকে অদ্যাবধি কাঠামোগত আলোচনার জন্য যে সূচির (অমবহফধ) প্রয়োজন তেমনটা হতে দেখা যায়নি। বিস্তারিত সূচি না থাকার কারণে আমার মতে, মাঝে মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হয়তো কথার পিঠে এমন কিছু বলেছেন যা তার মতে, নিছক হালকা রসিকতা করেছেন। এতক্ষণে তিনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন জনসম্মুখে নির্বাচন বিষয় নিয়ে হালকা রসিকতা কত বড় আলোচনার বিষয় হতে পারে। যাক তিনি পরে সামলে নিয়েছেন।


আমার লেখার উদ্দেশ্য নির্বাচন কমিশনকে কোনো হিতোপদেশ দেওয়া নয়; বরং আগামী নির্বাচন যাতে নির্বাচন কমিশনের আওতায় থাকে তার ওপর আমার ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতার আলোকে কিছু মতামত ও সুপারিশ রাখা। অবশ্য যদি অত্যন্ত ব্যস্ততার মাঝে এ সুপারিশগুলো তাদের গোচরীভূত হয়। যদিও এ বিষয়ে আমার পূর্বতন লেখাগুলোতে আগেও বলেছি যে, আওয়াল কমিশন উপকৃত হতো গত দুটি নির্বাচন বিশ্লেষণ করে দুর্বলতা অথবা ব্যর্থতা বা সমালোচনার জায়গাগুলো চিহ্নিত করতে পারলে আলোচনার ক্ষেত্রে সুবিধা হতো। বিশ্লেষণ করতে বেশি বেগ পেতে হতো না, কারণ কমিশনের কর্মকর্তারা প্রচুর অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। যাহোক অতীত থেকে কতখানি শিক্ষণীয় আছে তা কমিশন ভালোভাবে জানে বলে বিশ্বাস করি। নির্বাচন কমিশন আগামী নির্বাচনে কতখানি কার্যক্রম বা ক্ষমতার ব্যবহার করতে পারবে তা অবশ্যই নির্ভর করবে কতটুকু দৃঢ়তা কমিশন দেখাতে পারবে, যদিও সম্প্রতি একটি স্থানীয় নির্বাচনে আইন প্রয়োগে সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে। ওই অভিজ্ঞতার আলোকে আগামীতে কমিশনের আইনি সাংবিধানিক ও সাংবিধানিক ক্ষমতার বিশ্লেষণে অবশ্য যেতে হবে। আমার বিশ্লেষণে আইন এবং সংবিধানের প্রদত্ত ক্ষমতার আলোকে বলেছি, এই উপমহাদেশে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন সবচেয়ে ক্ষমতাধর। তবে ক্ষমতা প্রয়োগের দুর্বল ইতিহাস রয়েছে। এর কারণে অতীত নির্বাচনগুলোর বিশ্লেষণে প্রতীময়মান হয় যে, বেশিরভাগ নির্বাচনে বিশেষ করে রাজনৈতিক সরকারের অধীনে সব ধরনের নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন ক্ষমতার প্রয়োগ করতে পারেনি। কেন পারেনি তা অবশ্যই গবেষণার বিষয়। অন্তত অতীত কয়েকটি কমিশনের কার্যক্রম বিশ্লেষণেই এমন প্রমাণ পাওয়া যাবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

উপজেলা নির্বাচনের তফসিল হতে পারে কাল

প্রথম আলো | নির্বাচন কমিশন কার্যালয়
১ সপ্তাহ, ১ দিন আগে

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us