চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে ভারতে মালামাল নেওয়ার ক্ষেত্রে পরীক্ষামূলক চালানের ট্রানজিট মাশুল নির্ধারণ করল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। শিগগিরই চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে তিনটি এবং মোংলা বন্দর দিয়ে একটি পরীক্ষামূলক চালান ভারত থেকে আসবে। পরে সড়কপথ ব্যবহার করে তা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরায় যাবে। প্রতি টনে গড়ে ৫৫৪ টাকা মাশুল নির্ধারণ করেছে এনবিআর।
সম্প্রতি এনবিআর এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। আগামী আগস্ট মাসেই পরীক্ষামূলক চালানগুলো নিতে চায় ভারত। ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত চিঠি নৌ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
পরীক্ষামূলক চারটি চালান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা থেকে চট্টগ্রাম ও মোংলা পর্যন্ত সমুদ্রপথে আসবে। পরে চালানগুলো স্থলপথে চট্টগ্রাম-তামাবিল; চট্টগ্রাম-শেওলা; চট্টগ্রাম-বিবিরবাজার ও মোংলা-তামাবিল হয়ে ভারতে প্রবেশ করবে। এসব চালানের বিভিন্ন কাজ সম্পাদনের জন্য আলাদা আলাদা মাশুল নির্ধারণ করা হয়েছে। যেমন, টনপ্রতি কনটেইনার স্ক্যানিং মাশুল ২৫৪ টাকা, নিরাপত্তা চার্জ ১০০ টাকা, ডকুমেন্ট প্রসেসিং মাশুল ৩০ টাকা, ট্রানশিপমেন্ট মাশুল ২০ টাকা, এসকর্ট চার্জ ৫০ টাকা, বিবিধ প্রশাসনিক চার্জ ১০০ টাকা—সব মিলিয়ে প্রতি টনে মাশুল দিতে হবে ৫৫৪ টাকা। এ ছাড়া ওই পণ্যের চালানের বাড়তি নিরাপত্তার জন্য যদি বৈদ্যুতিক লক ও সিল ব্যবহার করা হয়, তাহলে খরচ আরও বাড়বে।
এনবিআরের একজন শীর্ষ শুল্ক কর্মকর্তা জানান, কিছুদিন আগে বাংলাদেশ-ভারত শুল্কসংক্রান্ত যৌথ কার্যদলের ১৩তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরীক্ষামূলক চালানের মাশুল নির্ধারণ করা হয়েছে। পরে নিয়মিত হলে মাশুলের তেমন একটা হেরফের হয় না।