ঈদ হোক সবার উৎসব

বিডি নিউজ ২৪ বিভুরঞ্জন সরকার প্রকাশিত: ১০ জুলাই ২০২২, ০৮:৪৭

পবিত্র ঈদুল আজহার দিনটি মূলত ঈদের নামাজ ও কোরবানির মাধ্যমেই পালিত হয়। ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা দুটোই মুসলিমদের বড় ধর্মীয় উৎসব। কিন্তু অন্য ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষ উৎসবের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হন না। তবে ইদুল ফিতর বা রোজার ঈদে অন্য সম্প্রদায়, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায় যতটা আনন্দে সামিল হন, ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদে ঠিক ততটা একাত্ম বোধ করেন বলে আমার অন্তত মনে হয় না। 


এর একটি বড় কারণ গরু কোরবানি। হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে গরু কোরবানি নিয়ে এক ধরনের ধর্মীয় সংস্কার আছে। বেশিরভাগ হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক গরুর মাংস খাওয়াকে ‘ধর্মবিরোধী’ বলে মনে করেন। গরু কোরবানির সংখ্যা যত বাড়ছে, ঈদুল আজহার আনন্দ নিয়ে হিন্দুদের উচ্ছ্বাস ততো কমছে। 


আমাদের ছোট বেলা কেটেছে পাকিস্তানে। পাকিস্তান ছিল ঘোষণা দিয়ে মুসলিম রাষ্ট্র। তারপরও আমরা দেখেছি, তখন গরু কোরবানি এখনকার মতো ব্যাপক ছিল না। কারণ হতে পারে দুটি। এক. সেই সময় গরু কোরবানি দেওয়ার সামর্থ্য ছিল কম সংখ্যক মানুষের। দুই. কোরবানি দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত গরুও তখন কম ছিল। 


তখন মানুষের মধ্যে অন্য ধর্ম নিয়ে বিদ্বেষের মনোভাব কম ছিল বলেই আমার বিশ্বাস। যার যার ধর্ম সে সে পালন করেছে, তাতে অন্য কেউ বাধা দিয়েছে বলে শুনিনি। এখন সবাই নিজ নিজ ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব দাবি করে অন্য ধর্মকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করার ফলে কারো কারো মধ্যে ধর্ম নিয়ে উদারতা কমে সংকীর্ণতা বেড়েছে। তাই এখন আর ধর্মীয় উৎসব সবার নেই। তাতে সাদা চোখে দেখলে কোনো সমস্যা নেই, কিন্তু একটু গভীরভাবে ভাবলে দেখা যাবে এরই পরিণতিতে উগ্রতা বাড়ছে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হচ্ছে। 


একটি ছোট্ট উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদের হৃদয় ভারতে সংখ্যালঘু মুসলিমদের নির্যাতনের খবরে ব্যথিত হবে- এটাই স্বাভাবিক। ভারতে সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর নির্যাতন হলে, গরু জবাই বন্ধ করার বিধান দেওয়া হলে বাংলাদেশের মুসলিমদের ক্ষুব্ধ হওয়া যৌক্তিক এবং ন্যায্য প্রতিক্রিয়া। ধর্মবিশ্বাসের কারণে কোনো মানুষ বৈষম্যের স্বীকার হলে, নির্যাতিত হলে তার প্রতিবাদ হওয়াই উচিত- সেটা ভারতে হোক, মিয়ানমারে হোক, চীনে হোক, মধ্যপ্রাচ্যে হোক। কিন্তু আমাদের প্রতিক্রিয়া কেন দেশ ভেদে ভিন্ন হয়? চীনের উইঘুরে মুসলিম নিপীড়ণের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়া শীতল হলেও ভারতের কোথাও তেমন কিছু হলে ক্ষোভের তীব্রতা বেশি লক্ষ্য করা যায়। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us