ডমিনিকার জন্য ম্যাচটি ছিল উৎসবের উপলক্ষ্য। প্রায় পাঁচ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরেছিল উইন্ডসর পার্কে। তবে বৃষ্টিতে শেষ হতে পারল না ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি। প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টা পর শুরু হওয়া ম্যাচটি প্রথমে নেমে আসে ১৬ ওভারে, এরপর ১৪ ওভারে। তবে বাংলাদেশ ইনিংসে ১৩তম ওভার শেষ হয়ে যাওয়ার পর আবার নামে বৃষ্টি। এরপর রোদ দেখা গেলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংস শুরু হয়নি আর। টি-টোয়েন্টিতে ফল আনতে কমপক্ষে যে ৫ ওভার খেলা হতে হয়, সেটির জন্য পর্যাপ্ত সময় ছিল না বলে মনে করেছেন আম্পায়াররা। এ মাঠে কৃত্রিম আলোরও ব্যবস্থা নেই।
বৃষ্টি বাধার আগে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের চিত্রটা অবশ্য উপভোগ্য ছিল না তেমন। সেটি রঙ বদলেছে বার বার, খানিকটা ডমিনিকার আকাশের মতোই। সাকিব আল হাসানের ১৫ বলে ২৯ রানের ঝোড়ো ইনিংসে বেশ ভালো একটা ভিত পেলেও বাংলাদেশ পথ হারায় এরপর— ৬.১ ওভারে ২ উইকেটে ৫৬ রান থেকে ১১তম ওভারে পরিণত হয় ৭৭ রানে ৭ উইকেটে। আগেভাগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা তখন বাংলাদেশের, সেটি হয়নি মূলত নুরুল হাসানের কারণেই। ১৬ বলে ২৫ রানের ইনিংসে বাংলাদেশকে ১০০ পার করান তিনি।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের তৃতীয় বলেই ফেরেন মুনিম শাহরিয়ার, আকিল হোসেনের ঝুলিয়ে দেওয়া বলে আগবাড়িয়ে খেলতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটকিপারের হাতে ধরা পড়েন নিজের তৃতীয় আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা মুনিম। তাঁর সঙ্গে ওপেনিংয়ে আসা সাত বছর পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা এনামুলের শুরুটা ইতিবাচকই হয়, আকিলকে কাট করে চার মারার পর শেফার্ডকে ডাউন দ্য লেগের বলে মারেন আরেকটি। তবে ১০ বলে ১৬ রান করে ওবেদ ম্যাকয়ের ফুললেংথের বল মিস করে এলবিডব্লু হন তিনি, রিভিউ নিলেও শেষরক্ষা হয়নি তাঁর।