দিনভর খুঁড়িয়ে চললেও সাড়ে চার ঘণ্টার লেনদেনের শেষ ১৫ মিনিটে হঠাৎ সূচক বেড়েছে শেয়ারবাজারে। এর মধ্য দিয়ে টানা চতুর্থ দিনে সূচক বাড়ল। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ২৬ পয়েন্ট বেড়ে প্রায় ৬৩৭৭ পয়েন্টে উঠেছে। এ নিয়ে টানা সূচক বাড়ল প্রায় ৭৬ পয়েন্ট।
পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গতকালের সূচক বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে ব্যাংক খাতের অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দরবৃদ্ধি। এ খাতের তালিকাভুক্ত ৩৩ কোম্পানির মধ্যে গতকাল ২৫টির দর বেড়েছে। কমেছে তিনটির। বাকি পাঁচটির দর অপরিবর্তিত। ব্যাংক খাতের শেয়ারদর বৃদ্ধি পাওয়ায় ডিএসইএক্স সূচকে যোগ হয়েছে প্রায় ১৮ পয়েন্ট।
দিনের লেনদেন পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, লেনদেনের শেষ মুহূর্তে এসে হঠাৎ করে ব্যাংক এশিয়া, ঢাকা ব্যাংক, ডাচ্-বাংলা, আইএফআইসি, এনসিসি, এনআরবিসি, ট্রাস্ট ব্যাংকের শেয়ারদর বেড়েছে। অবশ্য আগে থেকে বাড়ছিল যমুনা, মার্কেন্টাইল, ওয়ান, প্রিমিয়ার, প্রাইম, পূবালী, রূপালী ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের শেয়ারদর।
মূলত ব্যাংকের শেয়ারদর বৃদ্ধির ওপর ভর করে লেনদেনের শেষ মুহূর্তে এসে সূচক বেশ বাড়তে থাকে। দুপুর ২টা ১৬ মিনিটে সূচকটি পাঁচ পয়েন্ট বেড়ে ৬৩৫৫ পয়েন্টে অবস্থান করছিল। এরপর ক্রমাগত বেড়ে লেনদেন শেষ হওয়ায় আগের মিনিটে আরও ৩২ পয়েন্ট বেড়ে ৬৩৮৭ পয়েন্ট ছাড়ায়।
সূচকের এ বৃদ্ধিতে একক কোম্পানি হিসেবে মোবাইল অপারেটর কোম্পানি রবির শেয়ারদর বৃদ্ধি সর্বাধিক তিন পয়েন্ট যোগ করে। এর পরের অবস্থানে ছিল প্রাইম, পূবালী, ব্যাংক এশিয়া এবং আইএফআইসির দরবৃদ্ধির প্রভাব। এ চার ব্যাংকের শেয়ারদর বৃদ্ধি সূচকে যোগ করে অন্তত আট পয়েন্ট। তবে বেক্সিমকো লিমিটেড, গ্রামীণফোন, স্কয়ার ফার্মা, বেক্সিমকো ফার্মা, বিকন ফার্মার শেয়ারের দর হ্রাস সূচকে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এ পাঁচ কোম্পানির দর হ্রাসে সূচকে নেতিবাচক প্রভাব ছিল প্রায় ১২ পয়েন্ট।