বেসরকারি খাতের ইউনিয়ন ব্যাংকের বিতরণ করা বেশির ভাগ ঋণে বড় ধরনের অনিয়ম খুঁজে পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। শুধু ট্রেড লাইসেন্সের ভিত্তিতে কোম্পানি গঠন করে ঋণের বড় অংশই বের করে নিয়েছে প্রায় ৩০০ প্রতিষ্ঠান। আবার অনেক ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্সও ছিল না। কাগুজে এসব কোম্পানিকে দেওয়া ঋণের বেশির ভাগেরই খোঁজ মিলছে না এখন। ফলে এসব ঋণ আদায়ও হচ্ছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। এর আগে ঋণ অনিয়মের এ ধরনের ঘটনা ঘটেছিল বেসিক ব্যাংক, সোনালী ব্যাংকের হল–মার্ক কেলেঙ্কারি ও সাবেক ফারমার্স ব্যাংক (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) এবং বহুল আলোচিত পি কে হালদারের আর্থিক কেলেঙ্কারির ক্ষেত্রে।
জানা গেছে, বিতরণ করা ঋণ আদায় না হলেও ইউনিয়ন ব্যাংক এসব ঋণকে খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত করছে না। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ব্যাংকটির বিতরণ করা ঋণের ১৮ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা খেলাপি হওয়ার যোগ্য, যা ব্যাংকটির মোট ঋণের ৯৫ শতাংশ। অর্থাৎ ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে যত ঋণ বিতরণ করেছে, তার সিংহভাগই খেলাপি বা অনিয়মের ঋণে পরিণত হয়েছে। এ অবস্থায় এসব অনিয়ম ও করণীয় বিষয়ে ব্যাংকটির সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনার পর গত ২৭ এপ্রিল ইউনিয়ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে এ নিয়ে একটি চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।