ঈদুল ফিতরে পোশাক নিয়ে যতটা আগ্রহ থাকে, ঈদুল আজহায় তা খানিকটা ঝিমিয়ে পড়ে। ‘কোরবানির ঈদ’ বলে কথা। সকালে উঠে নামাজ সেরেই কোরবানির কাজ, রান্নাঘরে তুমুল ব্যস্ততা—এগুলো ছাড়া কোরবানির ঈদ হয় নাকি? পাশাপাশি সারা দিন কাজের পর কিছুটা আয়েশ করার ফুরসতও যেন পাওয়া যায়। এ সময় অনেকে বাড়িতে থাকতে পছন্দ করেন, অনেকে আবার বেরিয়ে পড়েন ঈদের মাংস বিলাতে। যে ব্যস্ততার মধ্য দিয়েই ঈদ কাটুক না কেন, বেছে নিতে পারেন আরাম ও স্বাচ্ছন্দ্যের পোশাক।
ঈদে যদি আপনি দুটি পোশাক নেন, এর ভেতর একটি শাড়ি হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ। এবারের ঈদে নতুন শাড়ির ভাঁজ ভাঙবেন অনেকেই। গরমে আরাম দেবে হালকা রঙের সুতি শাড়ি। রং হিসেবে বেছে নিতে পারেন ফিকে হলুদ, উজ্জ্বল হলুদ, ঘিয়া, হালকা সোনালি, বাসন্তী, জলপাই রং, টিয়া, পেস্ট, বেবি পিংক, বাঙ্গি, আকাশি নীল, বেবি ব্লু, সমুদ্রের নীল, লাইট চকলেট ও ঘুরেফিরে চিরকালীন সাদা।
পশ্চিমা আরামদায়ক পোশাকের নাম নিতেই সবার আগে হাজির হবে টপ–প্যান্ট। নানা ধরনের টপের ভেতর এগিয়ে থাকবে টিউনিক আর কাফতান। এর সঙ্গে পরে ফেলতে পারেন স্বস্তিদায়ক মম জিনস, বয়ফ্রেন্ড জিনস বা ফ্লেয়ার কাটের আঁটসাঁট নয়, এমন যেকোনো প্যান্ট। জিনসের বদলে চাইলে আপনার পছন্দমতো কাপড় কিনেও প্যান্ট বানিয়ে নিতে পারেন। পরতে পারেন পালাজ্জোও।