এক বছর চার মাস বয়সী সুসান্না ত্রিপুরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি ওয়ার্ডের বেডে শুয়ে কিছুক্ষণ পরপর ব্যথায় কাতরাচ্ছে। মা রুংদতি ত্রিপুরা নানাভাবে চেষ্টা করেও তার কান্না থামাতে পারছিলেন না।
ছোট্ট মেয়েটির মাথা, বুক ও মুখে গুলি লেগেছে, সে কারণে থেকে থেকে ব্যথায় কেঁদে উঠছিল সে। চিকিৎসকরা বলছেন, মাথায় রয়ে যাওয়া ছড়রা গুলির কারণে তার এ অবস্থা।
হাসপাতালে আছে মুখে গুলি লাগা চার বছর বয়সী ছেলে অনন্ত ত্রিপুরাও। সে রুংদতির আরেক সন্তান।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার দুর্গম বড়থলি ইউনিয়নের সাইজাম পাড়ায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে স্বামী ও শ্বশুরকে হারানো রুংদতি এখন শোককে পাথর চাপা দিয়ে সুসান্নাকে বাঁচানোর যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন।
ওই দিন নিহত হন তার স্বামী সুভাষ চন্দ্র ত্রিপুরা (৩০), শ্বশুর বিছাই চন্দ্র ত্রিপুরা (৫০) এবং পাশের বাড়ির কিশোর ধনরাং ত্রিপুরা (১৫)।
এ ঘটনার জন্য স্থানীয় লোকজন পাহাড়ে গড়ে ওঠা নতুন সংগঠন ‘কুকি-চীন ন্যাশনাল ফ্রন্টকে’ (কেএনএফ) দায়ী করছে।
রুংদতি এখনও জানে না তার স্বামী-শ্বশুরের কী দোষ ছিল? কিংবা বা কী কারণেই তার দুই শিশু গুলিবিদ্ধ হয়েছে?