সেন্ট লুসিয়ায় মাত্র ৩২ রানের বিনিময়ে ক্যারিবীয়দের ৪ উইকেট তুলে ম্যাচে ফেরার বার্তা দিয়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিন লাঞ্চের আগে ওই ৪ উইকেটের ৩টি পড়েছে এক রানে। কিন্তু চাপে পড়বার মুহূর্তটি পরে আর কাজে লাগাতে পারেনি সফরকারী দল। তাতে দ্বিতীয় টেস্টে চালকের আসনে বসে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১০৬ রানের লিড নিয়ে ৫ উইকেটে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে ৩৪০ রানে। দলের এই ব্যর্থতায় হতাশা গোপন করলেন না হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো।
ম্যাচের পর সাকিবদের হেড কোচ বলেছেন, ‘এই মুহূর্ত আমাদের টেস্ট ম্যাচের গল্পটা এরকমই। দেখা গেলো একটা সেশনে আমরা খুব ভালো করছি। পরের সেশনেই সেটা হয়ে যায় বাজে। ছেলেরা ধৈর্য ধরে রাখতে পারছে না। আমরা প্রথম সেশনের মতো পরে ধারাবাহিক টাইট ওভার করতে পারিনি। ওরা আসলে ধৈর্য না ধরে বেসিক ভুলোগুলো করছিল। লাঞ্চের পর ওরা যেভাবে বল করেছে তা ছিল হতাশার।’
প্রথম সেশনে দ্রুত ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে যান কাইল মায়ার্স ও জার্মেইন ব্ল্যাকউড। পঞ্চম উইকেটে গড়েন ১১৬ রানের দাপুটে একটি জুটি। তাদের জুটিতে ভর করেই পরের দুই সেশনে কর্তৃত্ব করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া মায়ার্স ষষ্ঠ উইকেটে আবার জশুয়া ডা সিলভাকে নিয়ে ৯২ রান যোগ করেছেন। ডমিঙ্গো জানালেন, ‘ওদের বার্তা দেওয়া ছিল ডট বল করো, চাপ তৈরি করো; রান রেটেও রাশ টেনে ধরো। যেহেতু উইকেটের খোঁজ করছে, তখন দেখা গেলো বেশি সফট বল করে ফেলছে। বল হাতে শৃঙ্খলা ও ধৈর্যর কাজটা আমরা একটা সেশনেই করতে পারছি। টানা বা পরের সেশনে সেটা পারছি না।’