গমের নিরাপদ মজুত গড়ে তুলতে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে কমপক্ষে ৮ লাখ টন গম সংগ্রহের চেষ্টা করছে সরকার। এ জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয় রাশিয়া, ভারত, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। আর্জেন্টিনা থেকেও গম সংগ্রহের চেষ্টা করা হচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার যুদ্ধরত রাশিয়া থেকে গম আমদানির জন্য দেশটির খাদ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে আলোচনা করেন বাংলাদেশের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। জানা গেছে, রাশিয়া থেকে বাংলাদেশ অন্তত ২ লাখ টন গম আমদানি করতে চেয়েছে। সম্ভব হলে ৩ লাখ টন। রাশিয়া ৩ লাখ টনই সরবরাহের আগ্রহ দেখিয়েছে। দেশটি প্রতি টনের দাম চেয়েছে ৪৪০ থেকে ৪৫০ ইউএস ডলার। বাংলাদেশ ৯০ দিনের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে সরবরাহ চেয়েছে। তবে রাশিয়া বলেছে ৬০ দিনের কথা। খাদ্য অধিদপ্তর বলেছে, একসঙ্গে ৩ লাখ টন গম বন্দরে পৌঁছালে সেগুলো ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ কঠিন হয়ে পড়বে। এ জন্য প্রথমে ৯০ দিনে সরবরাহ ধরে ২ লাখ টন এবং পরে ১ লাখ টন ৬০ দিনে সরবরাহ ধরে চুক্তির প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসমাইল হোসেন সমকালকে বলেন, রাশিয়া থেকে গম আমদানির বিষয়ে দেশটির সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সরকার থেকে সরকার (জিটুজি) পদ্ধতিতে গম আমদানি হবে। তবে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামী ৪ জুলাই এ নিয়ে ফের আলোচনা হবে।