শ্রীলঙ্কায় নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে সংবিধান সংশোধনের অনুমতি দিয়েছে দেশটির মন্ত্রিসভা। প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভের মুখে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা সীমিত করতেই এই উদ্যোগ। মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে সংবিধান সংশোধনের সিদ্ধান্ত হয়।
এদিকে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া ও নতুন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের পদত্যাগের দাবিতে আবার বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। সোমবার দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারো শিক্ষার্থী রাজধানী কলম্বোয় বিক্ষোভ করেন। তাঁদের দাবি, দেশটির চলমান অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়েছেন প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী।
আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেছেন, শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকটের জন্য দায়ী প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া। দেশটি ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতার পর থেকে আর কখনো এ রকম অর্থনৈতিক সংকটে পড়েনি। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়া রনিলের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তিনি দেশের চলমান সংকট নিরসনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এলেও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি।
অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা ও কোভিড মহামারির কারণে সাত দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ আর্থিক সংকটে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে ঠেকায় জ্বালানি, ওষুধ, খাবারের মতো নিত্যপণ্য আমদানি করা যাচ্ছে না। ডিজেল ও পেট্রলের ক্রমাগত ঘাটতির কারণে জনগণের অসন্তোষ আরও বেড়েছে। এই সংকটের জন্য বর্তমান প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে তথা রাজাপক্ষে পরিবারকে দায়ী করা হচ্ছে। বিক্ষোভের মুখে গত মাসে গোতাবায়ার ভাই মাহিন্দা রাজাপক্ষে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান। এর আগেই তাঁর আরও দুই ভাই ও ভাইপো মন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান।