‘পুঁজিবাজার ভালো হবে’ অর্থমন্ত্রীর এমন আশ্বাসে গত সপ্তাহে এক দিন একটু স্বস্তির দেখা মিললেও চলতি সপ্তাহ থেকে আবারও দরপতনের বৃত্তে আটকা পড়েছে বাজার।
আরও দরপতন হতে পারে এমন শঙ্কা ও ভয়ে শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। এতে সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবস মঙ্গলবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে যে, লেনদেন হওয়া ৩৮২ কোম্পানির মধ্যে অর্ধশতাধিক কোম্পানিতে ক্রেতাই ছিল না, শুধু ছিল বিক্রেতা।
ফলে ক্রেতাহীন পুঁজিবাজারে সূচক, লেনদেন ও অধিকাংশ শেয়ারের দাম কমেছে। এদিন ডিএসই প্রধান সূচক কমেছে ৪৫ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ১৩৭ পয়েন্ট।
ফলে গত বুধবার (১৫ জুন) উত্থানের পর বৃহস্পতি, রবি ও সোমবারের পর আজ মঙ্গলবারও পুঁজিবাজারে দরপতন হয়েছে। আজকের দরপতনে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছে।
এর গত ১৫ জুন অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরত আসলে পুঁজিবাজার চাঙা হবে। পাশাপাশি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য গতিশীল হবে। এবারের বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য অনেক কিছু দেওয়া হয়েছে। আমি আশা করি, বাজেট বাস্তবায়ন শুরু হলে পুঁজিবাজারে তার প্রভাব পড়বে এবং বাজারে চাঙাভাব বিরাজ করবে।