বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাকে আলু দিচ্ছে, এমন খবর ওই দেশে বেশ আলোচিত এখন। শ্রীলঙ্কায় খাবারের তালিকায় আলু বেশ পরিচিত একটি নাম। তবে এ মুহূর্তে অনেক কিছুর মতো আলুরও অভাব পড়েছে।
বাংলাদেশ থেকে আলু যাওয়ার খবর প্রচারিত হওয়ামাত্র সেখানকার ডেইলি মিরর–এর ডেপুটি সম্পাদক জামিলা হোসেন টুইটারে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ পারলে যেন আলু সেদ্ধ করে পাঠায়। কারণ, সংকট কেবল খাবারের অভাব নয়, খাবার সেদ্ধ করার মতো জ্বালানিও তো নেই!’ জামিলা হোসেনের টুইটে রসিকতার পাশাপাশি যে গভীর বেদনাও মিশে আছে, সেটা বোঝা দুষ্কর নয়।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এ মুহূর্তে শ্রীলঙ্কা নিয়ে দুই মাস আগের মতো আর আগ্রহ নেই। অথচ সেখানে দৈনন্দিন সংকটের তীব্রতা মোটেও কমেনি। বাড়তি দাম দিয়ে খাদ্যশস্য কেনা গেলেও গ্যাস খুব দুর্লভ। কলম্বোয় দৈনন্দিন চাহিদার তিন ভাগের এক ভাগ জ্বালানি পাওয়া যাচ্ছে। রাইফেল হাতে জওয়ানদের পাহারা ছাড়া সেই গ্যাস সিলিন্ডার বিতরণ করা যায় না।
মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারগুলোতে তরুণেরা একদিকে জিনিসপত্রের বাড়তি দাম জোগাড় করতে পেশাগত জীবনে দিশাহারা—অন্যদিকে নারী, শিশু আর বৃদ্ধদের দীর্ঘ সময় যাচ্ছে গ্যাসের খোঁজে। একই রকম দুর্ভাবনা আছে কেরোসিনে। সংকট মেটেনি বিদ্যুৎ সরবরাহেও।