ছোটবেলায় পড়া রূপকথার রাজা–রানির গল্পের শেষ লাইনটি নিশ্চয়ই মনে আছে? অনেক দুঃখ, বিপদ, ষড়যন্ত্র পার হয়ে সব গল্পেরই শেষে রাজা ও রানি সুখে–শান্তিতে বাকি জীবনটা কাটিয়ে দেন। তবে বাস্তবের গল্পটা সব ক্ষেত্রে এমন হয় না।
হাতে হাত ধরে জীবনপথের চড়াই–উতরাই পার করতে গিয়ে কখনো কখনো হাত ছুটে যায়। পথটা দুই দিকে যায় বেঁকে। পথের প্রান্তে দাঁড়িয়ে তবু কি দুজনের কখনো মনে পড়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘হঠাৎ দেখা’ কবিতার সেই ছত্রগুলো? একে অন্যের দিকে তাকিয়ে মন কি বলে ওঠে ‘আমাদের গেছে যে দিন, একেবারেই কি গেছে, কিছুই কি নেই বাকি’। কোনো এক বিষণ্ন সন্ধ্যায় দুজনের একজনের কী মনে হয়, কুমার বিশ্বজিতের গানের মতো কেন বলিনি, ‘চন্দনা গো, রাগ করো না, অভিমান করে বলো, আর কি হবে?’
রূপকথা, সাহিত্য বা গানে বিচ্ছেদের বেদনা যতই মধুর হোক না কেন, বাস্তবে বিচ্ছেদ ব্যক্তি, পারিবারিক, সামাজিক জীবনে বয়ে আনে তিক্ততা আর জটিলতা। বিচ্ছেদে এখন পকেটের খরচও কিন্তু কম নয়। নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট অনুসারে এখন কেউ বিবাহবিচ্ছেদ করতে চাইলে বাড়তি দেড় হাজার টাকা গুনতে হবে। এত দিন ডিভোর্স ইন্সট্রুমেন্টে স্ট্যাম্প ডিউটি দিতে হতো ৫০০ টাকা।