করোনা-পরবর্তী আন্তর্জাতিক বাজারে হঠাৎ করে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বিশ্ববাজারে কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। এর মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ওই দুটি দেশসহ অন্যান্য অনেক দেশ থেকে পণ্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। এর ফলেও দেশে দেশে পণ্যমূল্য বেড়েছে। সবশেষে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং বাড়তি চাহিদার কারণে বেড়েছে পরিবহন খরচ। দেশে দেশে যার প্রভাব পড়েছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। কিন্তু বাংলাদেশে যেসব পণ্যে আমদানিনির্ভরতা নেই সেগুলোরও দাম বাড়ছে। বিশেষ করে চাল। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশের প্রধান খাদ্যটির দাম মান ও জাতভেদে কেজিতে ৩ থেকে ৬ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বোরোর ভরা মৌসুমে চালের দাম বৃদ্ধি মানুষকে আরও বিপাকে ফেলেছে। অন্যদিকে বড় ব্যবসায়ীদের গুদামে নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত মজুত পাওয়া যাচ্ছে।
এ ছাড়া এক মাসের ব্যবধানে আটার দাম বেড়েছে ৩১ শতাংশ। এতে আটা ও ময়দা থেকে তৈরি পণ্যের দাম ২০ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা; কিন্তু বাস্তবে বেড়েছে আরও বেশি। প্রতিটি ডিম খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১১ টাকা দরে।
গতকাল রাষ্ট্রীয় সংস্থা মিল্ক্ক ভিটা দুধসহ তাদের সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়িয়েছে।