বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে অপ্রয়োজনীয় ও বিলাসী পণ্য আমদানি নিয়ন্ত্রণের ফলে এ খাতে নতুন এলসি খোলা কমছে। গত দেড় মাসে কমেছে ১২ শতাংশ। আগামী দিনে আরও কমবে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির কারণে কিছু পণ্যের আমদানিও কমেছে। তবে সার্বিকভাবে আমদানি ও এলসি খোলা বেড়েছে।
সূত্র জানায়, গত বছরের আগস্ট থেকেই বাজারে ডলারের সংকট দেখা দেয়। ওই সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার ছেড়ে টাকার মান ধরে রাখছিল। কিন্তু গত মার্চ থেকে আর পারছিল না। তখন ডলারের দাম বাড়া শুরু করে। মে মাসে ডলার সংকট প্রকট হওয়ায় এর দামও বেড়েছে।
ডলারের সংকট প্রকট হওয়ার কারণে গত বছরের শেষদিক থেকেই কিছু পণ্যের আমদানির এলসি খোলা কমতে থাকে। এখন ওইসব পণ্যের আমদানি কমেছে। ১১ এপ্রিল অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ছাড়া বাকি সব পণ্য আমদানিতে ২৫ শতাংশ এলসি মার্জিন আরোপ করা হয়। ১০ মে বিলাসী পণ্যে ৭৫ শতাংশ এবং অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ছাড়া বাকি সব পণ্যে ৫০ শতাংশ মার্জিন আরোপ করা হয়। এর প্রভাব পড়ে এলসি খোলায়।