রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে তাকে অ্যানিমিয়া বলে। পলিসাইথেমিয়া হলো এর উল্টো। পলিসাইথেমিয়ায় রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বেড়ে যায়। ছেলেদের ক্ষেত্রে যদি হিমোগ্লোবিন ১৭.৫ গ্রাম/ডেসিলিটার ও মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৫.৫ গ্রাম/ডেসিলিটারের বেশি হয়, তাহলে সেটাকে পলিসাইথেমিয়া বলে গণ্য করা হবে।
ধরন: পলিসাইথেমিয়া মূলত দুই ধরনের। অস্থিমজ্জা বা স্টেম সেলের সমস্যার কারণে পলিসাইথেমিয়া হতে পারে। একে বলে প্রাইমারি পলিসাইথেমিয়া বা পলিসাইথেমিয়া রুব্রা ভেরা। অন্য কোনো অসুখের কারণে রক্তে লোহিত কণিকা ও হিমোগ্লোবিন বেড়ে গেলে তাকে সেকেন্ডারি পলিসাইথেমিয়া বলা হয়। এ ছাড়া আছে রিলেটিভ পলিসাইথেমিয়া। অর্থাৎ, কোষের সংখ্যা বাড়েনি, কিন্তু রক্তরসের অনুপাতে রক্তকোষের সংখ্যা বেড়ে গেছে। অতিরিক্ত ধূমপান, মদ্যপান, মূত্রবর্ধক ওষুধ সেবন ইত্যাদি কারণে রক্তরস কমে গিয়ে রক্তকোষের আনুপাতিক বৃদ্ধি হতে পারে।