সারা বিশ্বে ঈদ মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হওয়ায় তা উদ্যাপনের প্রস্তুতিও থাকে বিশাল। কিন্তু সারা মাসের রোজায় নানা ধরনের ভাজা-ভুনা খাবার খেয়ে রক্তে চর্বির ঘনত্ব বাড়ে, ব্লাড প্রেশার বাড়তে থাকে, ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়, সর্বোপরি অ্যাসিডিটি বা হজমে সমস্যা হয়। স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় শরীরের হজম প্রক্রিয়া থাকে এক রকম, আবার রোজার মাসে ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা অভুক্ত থাকার কারণে তা পরিবর্তিত হয়। ঈদের পর থেকে খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রা আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসতে শুরু করলে বিপত্তি ঘটে।
রোজা শেষে চাঁদরাত থেকে যখন খাবার ও লাইফস্টাইলের পরিবর্তন হতে শুরু করে, তখন হজম প্রক্রিয়ারও পরিবর্তন হয়। কিন্তু রোজা শেষের পর পরিবর্তনটা স্বাভাবিক খাবার দিয়ে না এসে আসে হাই-ক্যালরি, রিচ ফুড, জাঙ্ক ফুড, নানা রকম আর্টিফিশিয়াল বেভারেজ বা সফট ড্রিংকস পানের মধ্য দিয়ে। এর ফলে ঈদের দিন ও ঈদের পরবর্তী দিনগুলোতে অনেক মানুষ হয়ে পড়ে অসুস্থ। মাসজুড়ে তেলে ভাজা খাবার খাওয়ার পর ঈদের আগে চাঁদরাত থেকে শুরু হয় মিষ্টি, মিষ্টিজাতীয় খাবার, বেশি তেল, ঘি ও মসলা দিয়ে রান্না করা খাবার খাওয়া। ফলে পরিবারের বয়স্ক ব্যক্তিদের পাশাপাশি ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ ও কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা পড়েন বিপাকে। এ ছাড়াও যাঁদের হজমে সমস্যা আছে ও যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁদেরও অনিয়ম হয় খাদ্যাভ্যাসে।
স্বাভাবিক সময়ের খাবার
ঈদের পর এই স্বাভাবিক সময়ে খাবারের মেনু পরিবারের সব বয়সের সদস্যের কথা বিবেচনায় রেখে নির্বাচন করুন। ভাত, মাছ, ডাল, ডিমসহ স্বাভাবিক খাবার রাখুন সবার জন্য। সঙ্গে রাখুন প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের সবজি ও সালাদ।