সেই যে আমার নানা রঙের ঈদগুলো

বাংলা ট্রিবিউন রুমিন ফারহানা প্রকাশিত: ০৩ মে ২০২২, ১০:৩৭

ঈদ আসলেই নস্টালজিক হয়ে পড়ি আমি। কেবলই মনে পড়ে ফেলে আসা অপূর্ব সেই দিনগুলোর কথা। যখন ঈদ মানে সত্যিই ছিল আনন্দ, হাসি, নতুন জামার গন্ধ, ফিরনি, সেমাই আর পায়েস রান্না। ঈদ মানে ছিল বন্ধুদের সঙ্গে সারাদিন বেড়ানো, উচ্ছ্বলতা আর আনন্দে পরিপূর্ণ একটি দিন। সালামি তোলা আর একটু পরপর গুণে দেখা জমলো কত আর ঈদ শেষে সালামি দিয়ে কী কী করবো তার একটা পরিকল্পনা। ঈদ মানে তো কেবল একটি দিন নয়, একটি লম্বা সময় জুড়ে আনন্দ, উত্তেজনা আর হরেক রকম পরিকল্পনার মেলা।


শৈশবের ঈদ আনন্দ আসলে শুরু হতো ঈদ আসার অনেক আগে থেকেই। শবে বরাতের ঘোষণাই জানিয়ে দিত ঈদ আসছে। শবে বরাতের রাতে তারাবাতি জ্বালানো আর বাসায় বাসায় নানান রঙের হালুয়া বিলির আনন্দ ঈদের দিনের আনন্দের চেয়ে কম ছিল না কোনও অংশেই। এখন শহুরে ব্যস্ততার জীবনে বাসায় বাসায় হালুয়া দেওয়ার সেই সংস্কৃতি প্রায় নেই বললেই চলে। ফেসবুকের কালে ছবি দেখেই বুঝে নিতে হয় কার বাসায় রান্না হলো কয় পদের হালুয়া।  ঘ্রাণে নয়, দর্শনেই এখন অর্ধভোজন।


আমাদের ছোটবেলায় ফ্ল্যাটবাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্টের কথা আমরা জানতাম না। ধানমন্ডিতে বেড়ে ওঠা আমি আশপাশে এক/দোতলা বাড়ি দেখেই বড় হয়েছি। বাড়ি আলাদা হলেও সম্প্রীতি আর সম্পর্ক ছিল অটুট। এখন তাই একই বাড়ির পাশের ফ্ল্যাটের মানুষকে না চিনলেও তখন পাড়ার সকলের সাথেই পরিচয় ছিল কম-বেশি। সময় তখনও এমন মহা মূল্যবান হয়ে উঠেনি। তাই আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীর বাড়ি যাওয়া হতো নিয়মিত বিরতিতেই। ঈদও কাটতো তাদের সবাইকে নিয়ে।


সময়ের আপেক্ষিকতা ভালোভাবে টের পেতাম রোজার শেষ দিকে। রীতিমত দিন গুণতাম, ঈদের বাকি আছে আর কয় দিন। সেই সময়ের প্রতিটা দিন যেন আর কাটতে চাইতো না। তবে ওই সময় আনন্দের মূল উপলক্ষ্য ছিল কেনাকাটা। সমবয়সীদের তুলনায় পরিবার থেকে অনেক ক্ষেত্রে বেশি সুবিধাপ্রাপ্ত আমি এই ক্ষেত্রেও সুবিধাপ্রাপ্ত ছিলাম। বান্ধবীদের অনেককে যখন বাবা-মায়ের পছন্দে পোশাক কিনতে হতো, আমার ক্ষেত্রে ছিল সেটা ব্যতিক্রম। বাবা-মা ঈদ শপিংয়ে নিয়ে যেতেন। মা চাইতেন সবকিছু আমার পছন্দে না হোক, তাদের পছন্দও থাকুক। চাইলেই দিতে হবে সেটি মা মানতে নারাজ ছিলেন। কিন্তু বাবা আমাকে দিতেন সীমাহীন প্রশ্রয়। যা চাইতাম, বিনা বাক্য ব্যয়ে কিনে দিতেন সেটাই। এখন বুঝি আমার ঈদের আবদার মেটানোর জন্য হয়তো সারা বছর জুড়েই একটু একটু করে টাকা জমিয়ে রাখতেন বাবা। কিছুতেই যেন আমার কোনও খুশিতে ‘না’ বলতে না হয় তাঁকে।       

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us