সবজির ট্রাকে এখন ‘ডিজিটাল চাঁদাবাজি’

প্রথম আলো প্রকাশিত: ২৬ এপ্রিল ২০২২, ১০:২৬

মহাসড়কে পণ্যবাহী ট্রাক থেকে চাঁদাবাজি চলছেই। একসময় পথে পথে ট্রাক থামিয়ে চাঁদা আদায় করা হতো। মাঝে টোকেন বা কার্ড দিয়ে পুরো মাসের চাঁদা তুলে নেওয়া হতো। সেই ‘টোকেন প্রথা’ বদলেছে। সড়ক–মহাসড়কে এখন চাঁদাবাজি হচ্ছে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে মাসিক চুক্তির টাকা পরিশোধ করছেন ট্রাকমালিকেরা। পুলিশ ট্রাক আটকানোর পর মুঠোফোন নম্বরে ফোন দিলেই  ট্রাক ছেড়ে দেওয়া হয়। কার্ড দিয়ে চাঁদাবাজির বিষয়টি গণমাধ্যমে ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর কার্ডের বদলে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে মাসিক চুক্তির টাকা নেওয়া হচ্ছে।


পণ্যবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজি দেখতে প্রথম আলোর এই প্রতিবেদক গত রোববার ১০ টনের একটি সবজির ট্রাকে চড়ে বসেন। বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থান হাটের সবজির মোকাম থেকে ১৩ টন শসা, মুলা, বরবটি, পটোল ও করলা নিয়ে বেলা আড়াইটার দিকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয় ট্রাকটি। ২২০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ট্রাকটি পুরান ঢাকার শ্যামবাজারে এসে থামে গত রোববার দিবাগত রাত আড়াইটায়।


সাভারের আগপর্যন্ত দৃশ্যত কোনো চাঁদাবাজি দেখা যায়নি। সাভার থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত একাধিক স্থানে রসিদ দিয়ে ট্রাক থেকে চাঁদা তুলতে দেখা গেছে।


এর আগে ৬ এপ্রিল প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক রাজশাহী থেকে সবজির ট্রাকে চড়ে ঢাকায় এসেছিলেন। তিনিও সড়কে চাঁদাবাজির প্রায় একই চিত্র পেয়েছিলেন।


দৃশ্যমান চাঁদাবাজি নেই


রোববার দুপুরে মহাস্থান হাটের সবজির মোকাম থেকে বেরিয়ে ট্রাকটি বেলা তিনটার দিকে বগুড়া শহরের দ্বিতীয় বাইপাস সড়কে পৌঁছাল। চালক জানালেন, শাজাহানপুর উপজেলার মাদলা মোড়ে পণ্যবাহী ট্রাকে মাঝেমধ্যেই চাঁদা তোলা হয়। তবে এখন চাঁদাবাজি নেই। বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল প্লাজায় পৌঁছার আগেই ট্রাকের চালক ও সহকারী জানালেন, অন্য সময় এখানে ট্রাক থামিয়ে পুলিশ চাঁদাবাজি করত। তবে রোজা শুরুর পর এখানে পণ্যবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজি অনেকটা কমে গেছে।


চাঁদাবাজি এখন মুঠোফোনে


ট্রাক না থামানোর কারণ জানতে চাইলে চালক বললেন, মহাসড়কে পুলিশ যাতে ঝামেলা না করে, এ জন্য এক মাস আগেও মাসিক চুক্তিতে দুই হাজার টাকা চাঁদা পরিশোধ করে কার্ড নিতেন তাঁরা। সেই কার্ড দেখালেই পুলিশ ট্রাক ছেড়ে দিত। এখন সেই কার্ডও লাগে না। কার্ড দিয়ে চাঁদাবাজির বিষয়টি গণমাধ্যমে ফাঁস হওয়ার পর কার্ডের বদলে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে মাসিক চুক্তির টাকা নেওয়া হচ্ছে। এখন ‘ডিজিটালি চাঁদাবাজি’ চলে বলে মন্তব্য করলেন ট্রাকচালক।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us