টেকসই উন্নয়ন ও টেকসই শিক্ষক

সমকাল ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক প্রকাশিত: ২০ এপ্রিল ২০২২, ১০:১১

শিরোনামে 'উন্নয়ন' ও 'শিক্ষক' এই দুটো বিশেষ্যর সঙ্গে বিশেষণ হিসেবে একই শব্দ ব্যবহার করা হলেও অর্থের দিক থেকে শব্দটি দু'ক্ষেত্রে কিছুটা ভিন্ন হবে। 'টেকসই উন্নয়ন'-এর কথা আমরা প্রায় সবাই জানি। আর 'টেকসই শিক্ষক' বলতে এখানে এমন শিক্ষককে বোঝানো হচ্ছে যিনি টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা দেবেন; একই সঙ্গে নিজে একজন শিক্ষক হিসেবে টিকে থাকতে পারবেন। অর্থাৎ একটিতে কৃতকার্য হলে তিনি আরেকটাও পারবেন। মনে হতে পারে, শিক্ষকের টিকে থাকার প্রশ্ন আসছে কেন? আরও প্রশ্ন আসতে পারে, টেকসই উন্নয়ন প্রসঙ্গে অন্যসব পেশা বাদ দিয়ে শিক্ষকতা পেশাকেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করতে হবে কেন? প্রথম প্রশ্নের উত্তর অনেকেরই হয়তো জানা- চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ধাক্কায় অন্য বহু পেশার মতো বর্তমান ধাঁচের শিক্ষকতা পেশাও অবধারিতভাবে বিলুপ্ত হবে। এর অর্থ, টিকে থাকতে হলে প্রথাগত ধারা অনুসরণ না করে শিক্ষকতা পেশায় এমন একটা কিছু যোগ করতে হবে, যার বিকল্প তৈরি করা প্রযুক্তির সাধ্যাতীত। দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে, অন্যসব পেশার টিকে থাকার প্রধান পূর্বশর্ত হচ্ছে শিক্ষকতা পেশাটি টিকে থাকা। শিক্ষকরা যদি শিখন-শেখানো পদ্ধতির ক্ষেত্রে পরিবর্তন এনে, পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারার মতো পেশাজীবী তৈরি করতে না পারেন; অন্য কোনো পেশাও টিকবে না।


টিকে থাকতে হলে শিক্ষকদের যেহেতু যন্ত্রের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হবে; প্রথমেই বুঝতে হবে এখন শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের যা যা শেখাচ্ছেন বা শিক্ষার্থীদের যেসব বিষয় মূল্যায়নের চেষ্টা করছেন, তার ভেতর এমন কী আছে যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তাদেরকে শেখাতে কিংবা মূল্যায়ন করতে পারবে না। একটু ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, বর্তমানে শিক্ষকরা এমন কিছুই শেখাচ্ছেন না, যা শেখানোর ক্ষমতা যন্ত্রের নেই। এটা ঠিক, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংবলিত এসব যন্ত্র এখনও বহুল প্রচলিত বা সহজলভ্য নয়। তবে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব যেহেতু দরজায় কড়া নাড়ছে এবং অল্প কিছুদিনের মধ্যেই এসব প্রযুক্তি শিখন-শেখানো পদ্ধতির অবিচ্ছিন্ন অংশে পরিণত হবে, সেহেতু শিক্ষকদের প্রথাগত শিক্ষাদান পদ্ধতিও আর প্রাসঙ্গিক থাকবে না।
সরকার হয়তো শিক্ষকদের বিষয়টা এভাবে ভাবছে না। তবে ২০২৩ সালের নতুন কারিকুলামে শিখন-শেখানো পদ্ধতিতে এমন কিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে, যা বাস্তবায়িত হলে গুণগত শিক্ষা অর্জনের পাশাপাশি আরও বহুদিন শিক্ষকতা পেশাটি টিকিয়ে রাখার একটি ব্যবস্থা হয়ে যাবে। যেমন নতুন কারিকুলামে শিখন-শেখানো কার্যক্রম আর শ্রেণিকক্ষে সীমাবদ্ধ থাকবে না। তা ক্লাসরুমের বাইরে স্কুলের আঙিনা কিংবা আরও দূর-বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। একইভাবে একজন শিক্ষক এখন তার শিক্ষার্থীর শিখন প্রক্রিয়াকে আর আগের মতো নিয়ন্ত্রণ করবেন না। তিনি মূলত শিক্ষার্থীকে সহায়তা করবেন, যাতে সে নিজে অনুসন্ধান করে তার অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে শেখে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us