আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের বিশেষ কৃপায় আজ মাগফিরাতের দশকের অষ্টম দিনের রোজা আমরা অতিবাহিত করার সৌভাগ্য পাচ্ছি, আলহামদুলিল্লাহ।
পবিত্র মাহে রমজান আসে আমাদের জন্য অবারিত ইবাদত-বন্দেগির বাড়তি সুযোগ নিয়ে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আল্লাহর নেক বান্দারা অন্বেষণ করে কীভাবে আল্লাহ পাকের নৈকট্য অর্জন করা যায়। কিন্তু আমরা সেই সুযোগকে কাজে না লাগিয়ে রমজান মাসেও বিভিন্ন ঝগড়া-বিবাদে জড়িয়ে যাচ্ছি। অথচ ইসলাম শান্তি ও সম্প্রীতির ধর্ম। এখনে হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানির কোনো স্থান নেই। পবিত্র রমজান মাসেও যদি আমার মাঝে কোনো পবিত্র পরিবর্তন সৃষ্টি করতে না পারি তাহলে এই রোজা রাখার কোনো মূল্য সৃষ্টিকর্তার দরবারে আছে কি?
দেখতে দেখতে অর্ধেকের চেয়ে বেশি রোজা ইতিমধ্যে কেটে গেছে। জানি না, এদিনগুলোতে কতটুকু আল্লাহপাকের সন্তুষ্টি লাভের কাজ করেছি। যা-ই করেছি বা যেভাবেই কাটিয়েছি, সামনের দিনগুলো যেন আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারি সে জন্য অনেক বেশি নফল ইবাদতের প্রয়োজন রয়েছে।
যদিও আমরা সবাই জানি, পবিত্র এ মাস অত্যন্ত বরকতপূর্ণ মাস। তাই আমাদের সবার উচিত, ঝগড়া-বিবাদ ভুলে গিয়ে বিশুদ্ধচিত্তে আল্লাহর ইবাদত করা। আল্লাহতায়ালা রমজানের রোজা আমাদের জন্য এ কারণেই ফরজ করেছেন যাতে আল্লাহতায়ালার সমস্ত আদেশ নিষেধ মেনে চলে যেন আমরা তাকওয়া অবলম্বন করতে পারি। আল্লাহতায়ালার নৈকট্য লাভ করতে পারি। আল্লাহ রাব্বুল আলামিনকে লাভ করার জন্য রোজা একটি বড় মাধ্যম। পবিত্র কুরআনে বারবার তাকওয়া অর্জন করার কথা বলা হয়েছে, এই তাকওয়া আমরা কিভাবে অর্জন করবো? আমাদেরকে জানতে হবে তাকওয়া কাকে বলে আর তাকওয়া কি জিনিস?