ব্যাংকের বিতরণ করা বিপুল পরিমাণ টাকা আটকে আছে গ্রাহকের কাছে। করোনার কারণে অনেকেই ঋণের টাকা ফেরত দিতে পারেনি। তবে ব্যাংকের অবস্থা খারাপ হয়েছে—এমনটি বলা যাচ্ছে না। কারণ, গত দুই বছর ধরে বিশেষ সুবিধা পেয়েছে ব্যাংক খাত। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শিথিল নীতিমালার কারণে ২০২১ সালে কয়েকটি বাদে অধিকাংশ ব্যাংক উচ্চ পরিচালন মুনাফা অর্জন করেছে। শিথিল নীতিমালার কারণে অপরিশোধিত কিস্তির সুদকে লাভের খাতায় দেখানোর সুযোগ পেয়েছে ব্যাংকগুলো। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এতে দীর্ঘমেয়াদে ব্যাংকগুলোর আর্থিক অবস্থা দুর্বল হয়ে পড়বে। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ সুবিধা পাওয়ার পরও ২০২১ সালে নিট লোকসানের সম্মুখীন হয়েছে অন্তত ৯টি ব্যাংক। এর মধ্যে ৪টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক।
এগুলো হলো বেসিক ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক। এছাড়া বেসরকারি খাতের পদ্মা ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক এবং বিদেশি খাতের পাকিস্তানের হাবিব ব্যাংক।
এর মধ্যে জনতা ব্যাংক গত বছর ৩ হাজার ৫৫৯ কোটি টাকা নিট লোকসানের সম্মুখীন হয়েছে। ২০২০ সালে ব্যাংকটি নিট লোকসান করেছিল ৫ হাজার ৫৪ কোটি টাকা। পদ্মা ব্যাংকের ক্রমবর্ধমান নিট লোকসান দাঁড়িয়েছে প্রায় ২ হাজার ১০০ কোটি টাকা। গত বছরে পদ্মা ব্যাংকের নিট লোকসান হয়েছে ১ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকা। ২০২০ সালে ব্যাংকটির নিট লোকসান ছিল ১৫১ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংক পদ্মা ব্যাংকটির ব্যালেন্স শিটে নিট লোকসানের তথ্য প্রকাশ না করার অনুমতি দিয়েছে। এই লোকসানকে তারা ২০৩২ সাল পর্যন্ত ‘ইনটেনজিবেল অ্যাসেট’ হিসাবে দেখাতে পারবে।