টুইটারের পরিচালনা পর্ষদে যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও হঠাৎই সেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছপা হয়েছেন ইলন মাস্ক। বৃহত্তম অংশীদার কোম্পানি পরিচালকের পদ প্রত্যাখান করায় বিশ্লেষকরা এখন আশঙ্কা করছেন, শেয়ারের সংখ্যা আরও বাড়িয়ে মাইক্রোব্লগিং সেবাটির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ দখলের পথে হাঁটতে পারেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী।
ইলন মাস্ক টুইটারের ৯.২ শতাংশ শেয়ার কিনে নেওয়ার খবর চমকে দিয়েছিল পুরো প্রযুক্তি শিল্পকে। তারপর মাস্ক টুইটারের পরিচালনা পর্ষদে যোগ দিতে যাচ্ছেন, এমন খবরে শোরগোল শুরু হয়েছিল প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরেই। কনটেন্ট মডারেশন এবং বাকস্বাধীনতার প্রশ্নে পরিচালনা পর্ষদে মাস্কের উপস্থিতি ও আধিপত্য প্ল্যাটফর্মটির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে বলে শঙ্কিত ছিলেন টুইটার কর্মীরাই।
আরও নাটকীয়তার জন্ম দিয়ে টুইটারের পরিচালনা পর্ষদের না বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মাস্ক। পরিচালক পদে বসলে সর্বোচ্চ ১৪.২ শতাংশ শেয়ার মালিকানার বাধ্যবাধকতায় পড়তেন তিনি। এখন বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, পরিচালনা পর্ষদে না বসায় মাস্কের ওপর যেহেতু আর সর্বোচ্চ শেয়ারের বাধ্যবাধকতা থাকছে না, নিজের শেয়ার সংখ্যা আরও বাড়িয়ে পুরো টুইটারের নিয়ন্ত্রণ দখল করার চেষ্টা করতে পারেন তিনি।