‘আশ্রয়ণ’ প্রকল্প: শেখ হাসিনার দার্শনিক ভিত্তির অনুসন্ধান

বাংলা ট্রিবিউন রেজা সেলিম প্রকাশিত: ১০ এপ্রিল ২০২২, ২১:৩৬

গত প্রায় দুই মাস যাবৎ পৃথিবীর নানা প্রান্তের আবাসন ও বসতি ব্যবস্থাদির তথ্য সংগ্রহ করে জানলাম, আমাদের দেশের ‘আশ্রয়ণ’ প্রকল্পের মতো ভূমির মালিকানাসহ গৃহহীনের ঘর দেওয়া এমন সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগের কোনও উদাহরণ আর কোথাও নেই। পরিসরে এর প্রকার অনেক বড়, তবে তার চাইতে এর দার্শনিক ও সামাজিক নৃতত্ত্বের গুরুত্ব অনেক বেশি। ঘরহারাদের ঘর দিয়ে সমাজে বিদ্যমান জীবন প্রণালিকে গুরুত্বপূর্ণ ও একই সঙ্গে বৈষম্যহীন করার এমন উদ্যোগ বুঝবার চেষ্টা যেকোনও সমাজকর্মীর কাছে আকর্ষণীয়।


আমরা জানি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই দর্শনের ভিত্তি স্থাপন করেছেন এই মর্মে যে মুজিববর্ষে আমরা এমন এক বাংলাদেশ দেখবো যেখানে এই দেশের কোনও মানুষ ঘরহারা পরিচয় নিয়ে থাকবে না। সবার মাথা গোঁজার  ঠাঁই থাকবে, সে ঠাঁই তার মালিকানায় থাকবে ও সেই মানুষগুলো দেশের আর দশ জন নাগরিকের মতো সব অধিকার ভোগ করবে। এমনকি এই আইডিয়ায় আছে, পরিবারগুলো পরিজন নিয়ে সরকারের নিজের হাতে তৈরি করে দেওয়া একটি দুই কক্ষের সেমিপাকা দালানের ঘর পাবে আর সঙ্গে পাবে যে ভূমির ওপর ওই ঘর তৈরি হলো তার সামনে পেছনে মিলিয়ে দুই শতক জমির মালিকানা।


আমাদের যূথবদ্ধ পরিবারগুলো তথাকথিত শহুরে নাগরিকের জীবন অর্জনের সঙ্গে সঙ্গে বিচ্ছিন্ন ও ভেঙে গেলেও এই দেশের সব মানুষের পরিচয় ও ঠিকানা আছে। নদীভাঙন, জীবিকা অন্বেষণে স্থানান্তর, জলবায়ু পরিবর্তন ও সামাজিক কুচক্রের কৌশলে পরাস্ত হয়ে ঘর-ঠিকানা হারিয়ে এমনকি কোনও কোনও ক্ষেত্রে ভাসমান মানুষের পরিচয় নিয়ে বেঁচে থাকলেও সে বিশ্বাস করে একটি ঠিকানা তার ছিল ও সেই ঠিকানাকেই বর্তমান ধরে নিজের পরিচয় দেয়। এ দেশের মানুষ কখনোই ঠিকানাবিহীন থাকতে চায়নি কিন্তু বিধির নিয়মে চরম দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র থেকে নানা প্রচেষ্টায় বেরিয়ে আসতে চেয়েও সে একই তিমিরে দিনের পর দিন, বছরের পর বছর ভাগ্যপীড়িত জীবনযাপন করছে। সরকারের তালিকা অনুসারে এরকম ঘরহারা ভূমিহীন পরিবারের সংখ্যা এখন ২,৯৩,৩৬১ কিছুটা কম।


শেখ হাসিনা তাদের ঘর ও জমি দেবেন এমন প্রতিজ্ঞা করে দেশের প্রশাসন যন্ত্রকে উদ্বুদ্ধ করলেন তা বাস্তবায়নের নেতৃত্ব নিতে। ভূমি-ক্ষুধার্ত এই দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সরকারি জমিগুলো উদ্ধার ও বিন্যস্ত করে, কোথাও কোথাও জমি কিনে ‘আশ্রয়ণ’ প্রকল্পের অধীনে ঘরগুলো তৈরি হচ্ছে, তদারকি করছেন স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষে নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি ‘প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি’ যেখানে স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিও আছেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে নানা সরকারি বিভাগ/মন্ত্রণালয় ও সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিকে যুক্ত করে করা হয়েছে ‘কেন্দ্রীয় বাস্তবায়ন কমিটি’। দু’টি অবশ্য-অনুসরণীয় নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে- ‘ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পুনর্বাসনের জন্য জমি সংস্থান সংক্রান্ত নীতিমালা’ ও ‘মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে দেশের সব ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য গৃহ প্রদান নীতিমালা’। এই প্রক্রিয়ায় নিঃসন্দেহে একটি সুশৃঙ্খল প্রশাসনিক উদ্যোগের পরিকল্পনা আমাদের চোখে পড়ছে। আমাদের ভালো করে উপলব্ধি করা দরকার, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষের ঘর পাবার এই অধিকার বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা কোন দার্শনিক ভিত্তি বিবেচনায় রেখে একটি ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us