নিম্নে রোজার কিছু অপার্থিব উপকার তুলে হলো—
রোজা ধৈর্যের প্রতীক : পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ ধৈর্যশীলদের ভালোবাসেন। রোজা হলো ধৈর্যের প্রতীক। হাদিস শরিফে বলা হয়েছে, সুলাইম গোত্রের এক ব্যক্তি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমার হতে অথবা তাঁর হতে এসব বাক্য গুনে গুনে বলেন, ...রোজা ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার অর্ধেক এবং পবিত্রতা ঈমানের অর্ধেক। ’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫১৯)
রোজাদারকে ক্ষমা করা হয় : আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈমানসহ পুণ্যের আশায় রমজানের রোজা পালন করে, তার পূর্বের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। (বুখারি, হাদিস : ৩৮)
জাহান্নাম থেকে মুক্তি : আবু সাঈদ আল খুদরি (রা.) বলেন, আমি মহানবী (সা.)-কে বলতে শুনেছি, যে বান্দা আল্লাহর রাস্তায় একদিন রোজা রাখে, আল্লাহ তাআলা তার চেহারাকে জাহান্নামের আগুন থেকে ৭০ বছরের পথ দূরে রাখবেন। ’ (মুসলিম, হাদিস : ২৬০৩)
জান্নাতে রোজাদারদের বিশেষ সম্মাননা : সাহল (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেন, জান্নাতের রাইয়্যান নামক একটি দরজা আছে। এ দরজা দিয়ে কিয়ামতের দিন সওম পালনকারীরাই প্রবেশ করবে। তাদের ব্যতীত আর কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। ঘোষণা দেওয়া হবে, রোজা পালনকারীরা কোথায়? তখন তারা দাঁড়াবে। তারা ব্যতীত আর কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে না। তাদের প্রবেশের পরই দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে, যাতে করে এ দরজাটি দিয়ে আর কেউ প্রবেশ না করে। ’ (বুখারি, হাদিস : ১৮৯৬)