জালমুদ্রা প্রস্তুত, ধারণ, কেনাবেচা ও সরবরাহ প্রতিরোধের লক্ষ্যে সরকার দেশে জালমুদ্রা প্রতিরোধ আইন প্রবর্তন করতে যাচ্ছে। প্রস্তাবিত খসড়া আইনের কপি ইন্টারনেটে দিয়ে এ বিষয়ে জনগণের মতামত চাওয়া হয়েছে।
দেশে জাল ব্যাংক নোট আছে, ছিল ও থাকবে- এটি চিরন্তন সত্য। খারাপ লোকদের নোট জাল করার প্রবণতা আজকের নয়, সুদূর অতীতকাল থেকেই মুদ্রা বা নোট জাল হয়ে আসছে। যিশুখ্রিস্টের জন্মের প্রায় ৪০০ বছর আগে ভারতবর্ষে স¤্রাট চন্দ্রগুপ্ত রাজত্ব করতেন। তার আমলে এখানে প্রথম মুদ্রা তৈরির কথা জানা গেছে। এর পর মৌর্য, গ্রিক, সাইথিয়ান ও কুশান বংশের শাসন আমলেও মুদ্রা চালু ছিল। গজনির রাজা সবুক্তগিনের পুত্র সুলতান মাহমুদ প্রথম টাঁকশাল তৈরি করে টাকা বাজারে ছাড়েন। তুঘলক বংশের শ্রেষ্ঠ পাগলা রাজা মুহম্মদ বিন তুঘলক দেশের বিভিন্ন স্থানে টাঁকশাল বসিয়ে টাকা বানাতে শুরু করেন। তিনি জানতে পারেন- চীন ও পারস্য দেশে কাগজের মুদ্রা চালু হয়েছে। তারই অনুকরণে তিনি চালু করলেন তামা ও পিতলের মুদ্রা। এই মুদ্রাগুলো অনায়াসে নকল করা যেত। অনেক অসাধু প্রজা তখন তাদের ঘরেই টাঁকশাল বানিয়ে ফেলে এবং জালমুদ্রা তৈরি করতে থাকে। এ ছাড়া বিদেশি বণিকরা নকল মুদ্রা দিয়ে ঋণ শোধ করতে থাকেন। ফলে নকল মুদ্রায় রাজকোষ ভরে যায়। তুঘলক তখন বাধ্য হয়ে নিজের ইস্যু করা মুদ্রা নিজেই বাতিল করে দেন।