বিশ্বে সয়াবিন তেলের তৃতীয় বৃহত্তম আমদানিকারক দেশ বাংলাদেশ। তবে ব্যবহারের দিক থেকে দেশের অবস্থান দশম। বিশ্ববাজারে তেলের দামের অস্থিরতার পর বাজারে এখন সয়াবিন তেলের সংকট দেখা দিয়েছে।
আমদানির তথ্য বলছে, বাজারে এখনই সয়াবিন তেলের সংকট হওয়ার কথা নয়। তারপরও বিশ্ববাজারে দাম বাড়তে থাকায় সয়াবিন কেনায় ক্রেতাদের হুড়োহুড়ি বেড়েছে বাজারে। সেই সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছেন বিক্রেতাদের কেউ কেউ। বেশি দাম পেতে মজুত করছেন তাঁরা। আবার সয়াবিন পরিশোধনকারী কোম্পানির পরিবেশকেরাও চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ দিচ্ছে না দোকানে। এতে সয়াবিনের সংকট দেখা দিয়েছে।
দেশে সয়াবিনের চাহিদা মেটানো হয় দুইভাবে—ছয়টি প্রতিষ্ঠান অপরিশোধিত সয়াবিন আমদানি করে পরিশোধনের পর বাজারজাত করে; আর সয়াবীজ আমদানি করে প্রক্রিয়াজাতের মাধ্যমে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান সয়াবিন তেল বাজারজাত করে। এ দুইভাবে দেশের বার্ষিক ১২-১৩ লাখ টন সয়াবিনের চাহিদা পূরণ করা হয়। সেই হিসাবে প্রতি মাসে সয়াবিনের চাহিদা রয়েছে এক লাখ টনের কাছাকাছি। তবে রোজায় এই চাহিদা কিছুটা বেড়ে যায়।
২০২০-২১ অর্থবছরে অপরিশোধিত সয়াবিন তেল আমদানি হয় ৭ লাখ ৮৫ হাজার টন। আর প্রায় ২৪ লাখ টন সয়াবিন বীজ থেকে পাওয়া যায় ৪ লাখ ৩৩ হাজার টন তেল। অপচয় বাদ দিলে কমবেশি ১২ লাখ টন সয়াবিন আমদানি হয়েছে।