ওদেসার সিঁড়ি ও শিশুটির চোখ

আজকের পত্রিকা মামুনুর রশীদ প্রকাশিত: ১০ মার্চ ২০২২, ১১:১৪

রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ দেখতে দেখতে একটি জায়গায় হঠাৎ চোখ আটকে গেল। স্থানটির নাম ওদেসা। কৃষ্ণসাগরের পারে, যেখানে ব্যাটলশিপ পটেমকিনের ঘটনাটি ঘটেছে। সময় ১৯০৫ সাল, নির্বাক ছবির যুগের। ছবির কাজটি হয় ১৯২৫ সালে। ছবিটির নির্মাতা বিশ্ববিখ্যাত চলচ্চিত্রকার সার্গেই আইজেনস্টাইন। পঁচাত্তর মিনিট দৈর্ঘ্যের ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ২১ ডিসেম্বর ১৯২৫ সালে। ছবিটিতে অভিনয় করেছেন কয়েক হাজার অভিনয়শিল্পী। রাশিয়ার অন্যতম বৃহত্তর বন্দর ওদেসা ছিল ঘটনাস্থল। প্রথমে জাহাজের নাবিকদের সঙ্গে অফিসারদের খাবার নিয়ে সংঘাতের সূচনা। আবার এ কথাও সত্য, ১৯০৫ সালে রাশিয়ায় একটি বিপ্লবের সূচনা হয়েছিল, যা তখন ব্যর্থ হয়ে যায়। আমরা অবাক বিস্ময়ে ছবিটি দেখতে দেখতে ভাবতাম কী অসাধারণ শিল্পগুণ এই অভিনয়শিল্পীদের, যাঁরা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেননি, এসেছেন মঞ্চ থেকে।


সোভিয়েত ইউনিয়নের মঞ্চনাটক আরও প্রাচীন এবং ওই সময়ে বড় বড় নাট্যকার, ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, বিশেষ করে চলচ্চিত্র পরিচালক ও অভিনেতা স্তানিসলাভস্কির কাল, চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে সার্গেই আইজেনস্টাইন কতগুলো বিষয় সারা পৃথিবীকে উপহার দিয়েছিলেন—যেমন চলচ্চিত্র সম্পাদনা। একটি ঘটনা দৃশ্য থেকে দৃশ্যান্তরে যাওয়ার যে শৈল্পিক উপায়, তা তিনি শিক্ষা দিয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, একটা বিশাল জনগোষ্ঠী যার প্রাণকেন্দ্র একটি ব্যাটেলশিপ, তাকে চলচ্চিত্রের প্রতিটি মুহূর্ত নির্মাণ করতে কীভাবে সাহায্য করা সম্ভব, এ নিয়ে সারা বিশ্বেই দীর্ঘদিন আলাপ হয়েছে।


চলচ্চিত্রটি ছাড়াও ওদেসার ছবি নিয়ে অনেক কবিতা রচিত হয়েছে। লাখ লাখ মানুষ ওদেসা দেখতে গিয়ে এটিকে একটি পর্যটননগরীতে পরিণত করেছে। রুশ বিপ্লবের পর শুধু যে রুশ বিপ্লবীরা শ্রমিকশ্রেণির রাষ্ট্র গড়ে তুলতে ঝুঁকে ছিলেন তা নয়, মহৎ শিল্প-সাহিত্যের সংরক্ষণ এবং যেখানে মানুষের প্রতিবাদের ঐতিহ্য আছে, তাকেও বিশ্বের কাছে তুলে ধরার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গৌরবের সঙ্গে তা করেছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us