ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ যখন দশ বিলিয়ন (হাজার কোটি) ডলার ছুঁই ছুঁই – তখনও কিন্তু দুতরফের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি (ট্রেড ডেফিসিটি) রয়ে গেছে বিপুল পরিমাণে। রয়েছে কিছু কিছু অসঙ্গতিও। প্রধানত এই ইস্যুগুলোর মোকাবিলায় দুই দেশ নিজেদের মধ্যে একটি নতুন বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের পথে অনেকটা এগিয়ে গেছে – যার নাম কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট বা ‘সেপা’।
দিল্লিতে সরকারি কর্মকর্তারা বাংলা ট্রিবিউনকে আভাস দিয়েছেন, এ বছরের আরও পরের দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রস্তাবিত ভারত সফরের সময়ই যাতে ‘সেপা’ নামে এই নতুন চুক্তিটি বা তার ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর করা যায়, তার জন্য দুদেশই জোর কদমে চেষ্টা চালাচ্ছে।
বস্তুত গত শুক্রবার (৪ঠা মার্চ) দিল্লিতে দুদেশের বাণিজ্য সচিবদের মধ্যে বৈঠকে আলোচনার একটা প্রধান বিষয় ছিল এই ‘সেপা’। দুদেশের বিশেষজ্ঞ ও কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত জয়েন্ট স্টাডি গ্রুপ প্রস্তাবিত এই সেপা-র একটি রূপরেখা ইতিমধ্যেই প্রস্তুত করেছেন – তাদের পেশ করা সেই দলিলের নানা দিক নিয়ে বৈঠকে চুলচেরা বিশ্লেষণও করা হয়েছে।