গত বেশ কিছুদিন ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছে। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন থামতেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়েছিল। তবে উপাচার্য মহোদয়ের শিক্ষার্থী বান্ধব মানসিকতার কারণে পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে যায়। অতি সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে ধর্ষকের বিচারের দাবিতে। কয়েকদিন আগে একজন ছাত্রী রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত জোরপূর্বক তাকে একটি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে ধর্ষকদের অতি দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উপাচার্য মহোদয় একাত্মতা ঘোষণা করায় বিষয়টি অন্য মাত্রা পেয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন রাস্তায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বেশ কিছু দিন ধরে। বিশ্ববিদ্যালয় উন্মুক্ত জ্ঞানচর্চার স্থান। এটি স্কুল বা কলেজ নয় যে নির্দিষ্ট সময়ে শিক্ষার্থীরা আসবে এবং চলে যাবে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের বিচরণ হবে সব সময়। কিন্তু একজন শিক্ষার্থী সন্ধ্যার পরে বাসায় কিংবা হলে ফেরার সময় যদি এ ধরনের ঘটনার শিকার হয় তাহলে সেই বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট এবং তার আশেপাশে অঞ্চলের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক।