শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা ও শিক্ষার পালাবদল

প্রথম আলো আবুল মোমেন প্রকাশিত: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২:৪৪

জাতিসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফের তরফ থেকে স্কুল খুলে দেওয়ার আহ্বানের মধ্যেই সরকার করোনাজনিত বন্ধ দুই সপ্তাহ বাড়িয়ে দিয়েছিল। তাদের বিবেচনায় সবার নিরাপত্তার বিষয়টিই বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে মিল না থাকলেও মনে হচ্ছে, এ মাসের শেষ সপ্তাহে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে যাবে ও বাস্তবে ক্লাস হবে।


এর মধ্যে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, পরীক্ষার ফল খুবই ভালো। সামগ্রিক বিচারে পাসের হার ৯৫। কিন্তু পরীক্ষা হয়েছে তিনটিমাত্র বিষয়ে, শ্রেণির মূল্যায়ন যুক্ত হলেও তার যাথার্থ্য নিয়ে সংশয়-সংকট রয়েছে। তদুপরি উচ্চশিক্ষার সোপান হিসেবে পরিচিত এ পরীক্ষা এত সংক্ষিপ্ত আকারে ও হালকাভাবে হওয়া উচিত কি না, তা গভীরভাবে ভাবার বিষয় বলেই মনে করি।


আমাদের মনে হয়, দীর্ঘ বন্ধের ফলে শিশু থেকে তরুণ—সব শিক্ষার্থীরই মনোদৈহিক সংকট বেড়েছে। এর একটি দৃষ্টান্ত হলো গত এক বছরে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে শতাধিক আত্মহত্যার ঘটনা। আর বিভিন্ন সূত্রে শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের মারাত্মক শারীরিক-মানসিক অসুস্থতার খবর জানা যাচ্ছে। এ অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঝুঁকি এবং বন্ধ রাখার পরিণতির মধ্যে কোনটি মন্দের ভালো সিদ্ধান্ত, তার বিচারই জরুরি। অভিজ্ঞতা বলছে, শিশুদের মধ্যে করোনার মারাত্মক পরিণতি খুবই কম। কিন্তু দীর্ঘ বন্ধের প্রভাব তাদের সবার জীবনে খুবই নেতিবাচক। ফলে মাধ্যমিক, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের টিকা জোরদার করে এবং সব শিক্ষকের দুই ডোজ নিশ্চিত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খোলাই হবে ভালো। এ প্রস্তাব সম্ভবত অধিকাংশ শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকের ভাবনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।


এ কথা একটু বলে নেওয়া দরকার যে বন্ধের মধ্যে অনলাইন বা অ্যাসাইনমেন্টভিত্তিক যে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে, তা কোনোভাবেই বাস্তব ক্লাসের প্রাপ্তি মেটাতে পারেনি, তা পারার কথাও নয়। অনেকের পক্ষে এতে যুক্ত হওয়াও সম্ভব হচ্ছে না। অনলাইন পদ্ধতির স্বাস্থ্যগত নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কেও সচেতনতা প্রয়োজন এবং এ ক্ষতির সঙ্গেও করোনার ঝুঁকির তুলনা করা যেতে পারে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us