চালের বাজারে নজরদারি বাড়ান

সমকাল ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০২২, ১০:০১

দেশে নিত্যপণ্যের দাম মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ার ঘটনা উদ্বেগজনক। এর ফলে মানুষের জীবনমানে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। রেকর্ড উৎপাদন ও আমদানির পরও কেন নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না, তা পরিস্কার হওয়া দরকার। অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পাশাপাশি চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে। দেশে চালের প্রকৃত চাহিদা কত, তার সঠিক মূল্যায়ন করে প্রতি বছর কী পরিমাণ চালের জোগান হয়, তার হিসাব বের করা উচিত।


করোনা-পরবর্তী সময়ে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রম টেকসই হচ্ছে না। আর না হওয়ার কারণ হলো, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার অস্থির। বিশেষ করে খাদ্যপণ্যের। সামষ্টিক অর্থনীতির সূচকগুলোও স্বস্তিতে নেই। করোনা মহামারির আগেও এসব সমস্যা ছিল। এখন তা বেড়েছে। চালের কী পরিমাণ চাহিদা, তার মূল্যায়ন করা দরকার। আগের চেয়ে চালের চাহিদা বেড়েছে। এর বাণিজ্যিক ব্যবহারও বাড়ছে। ভোগের বাইরেও চালের ব্যবহার বাড়ছে। এসব বিষয় হিসাবে আনা দরকার। ঘাটতি টানাপোড়েনের সুযোগে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করে যাচ্ছে। কতিপয় গোষ্ঠী চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। কিন্তু বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাগুলোর কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে না।


সিপিডির গবেষণায় উঠে এসেছে, গত বছরের অক্টোবর মাসে মূল্যস্টম্ফীতির হার ৫ দশমিক ৪ শতাংশ এবং খাদ্যপণ্যে মূল্যস্টম্ফীতি ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বলা হলেও বাস্তবতার সঙ্গে এর বিরাট ফারাক রয়েছে। করোনার সময়ে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা সরকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে। এ ছাড়া বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপরও একটা চাপ পড়ছে। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে। কিন্তু সরকারি সংস্থা বিবিএসের তথ্যে দাম বাড়ার কোনো প্রতিফলন নেই। কারণ হতে পারে, বিবিএস যেসব পণ্যের ওপর ভিত্তি করে ভোক্তা মূল্যসূচক (সিপিআই) করে সেটি অনেক পুরোনো। অথচ সাম্প্রতিক সময়ে মানুষের ভোগে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। তাই সময় এসেছে, ভোক্তা মূল্যসূচক করার জন্য নতুন পণ্যের বাস্কেট করতে হবে। কারণ, বাজারে বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামের সঙ্গে বিবিএসের তথ্যে বেশ ফারাক দেখা যাচ্ছে।


মোটা চাল ও চিকন চালের মধ্যে নিম্ন-মধ্যবিত্তরা সাধারণত মোটা চাল খেয়ে থাকে। চিকন চালের পাশাপাশি মোটা চালেরও দাম বেড়ে যাওয়ায় স্বল্প আয়ের মানুষ সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। আমাদের দেশে চিকন চালের তুলনায় মোটা চালের চাহিদা অনেক বেশি। অথচ এ ধরনের চালের পর্যাপ্ত উৎপাদন হওয়ায় দাম কম থাকার কথা ছিল। আমরা সিপিডির গবেষণায় দেখিয়েছি, মোটা চালের দাম বেড়েছে মাঠ পর্যায়ে, আর চিকন চালের দাম বেড়েছে বাজারে। মাঠ পর্যায়ে মোটা চালের দাম বাড়ার পেছনে রয়েছে বড় বড় কৃষক ও রাইস মিলারদের হাত। তারা চাল গুদামজাত করে রেখে সংকট তৈরি করে। তখন বাজারে চাহিদার তুলনায় জোগান সংকট তৈরি হয় এবং বেশি দামে ওই গুদামজাত করা চাল বিক্রি করা হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us