বইমেলা নিয়ে কিছু প্রস্তাব

কালের কণ্ঠ রামেন্দু মজুমদার প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০২২, ১০:৩০

এরই মধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে, এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলা দুই সপ্তাহ পিছিয়ে ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে আয়োজনের কথা ভাবছে বাংলা একাডেমি। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে; যদিও করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ আমাদের আশঙ্কিত করে তুলেছে। তবে রাস্তাঘাটে বা শপিং মলে কিংবা বাণিজ্য মেলায় সাধারণ মানুষের আচরণে মনে হয় না যে কভিড অতিমারি নিয়ে কারো কোনো মাথা ব্যথা আছে।


যেহেতু বইমেলাকে কেন্দ্র করেই আমাদের প্রকাশনাশিল্পের বিকাশ, সব সতর্কতা অবলম্বন করে বইমেলা হওয়া আমাদের কাম্য। এবারের বইমেলা নিয়ে আমার ব্যক্তিগত কিছু প্রস্তাব নীতিনির্ধারকদের বিবেচনার জন্য পেশ করতে চাই:


১. বইমেলা এক মাসের বদলে ১৫ দিনের জন্য করা যেতে পারে । সে ক্ষেত্রে প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে। তাতে ভিড় অনেকটা এড়ানো যাবে। মেলা আয়োজনের খরচ এবং প্রকাশকদের খরচ দুটিই কম হবে। তবে স্টলভাড়া যুক্তিসংগতভাবে কমাতে হবে।


একাডেমিকে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় মেলা আয়োজন বাবদ কোনো অর্থ বরাদ্দ দেয় না। স্পনসরশিপ ও স্টলভাড়া থেকে মেলার খরচের বেশির ভাগ নির্বাহ করা হয়। তবে স্পনসরশিপের প্রক্রিয়াটি বিস্ময়কর। একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কম্পানি স্পনসরশিপ জোগাড় করে। কিন্তু টাকার অঙ্ক বাংলা একাডেমি জানে না। কম্পানিটি নির্ধারিত কিছু কাজের খরচ বহন করে—স্পনসরশিপ থেকে লাভ-লোকসানের দায়িত্ব তাদের।


অমর একুশে গ্রন্থমেলার মতো একটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক আয়োজন স্পনসরশিপের মুখাপেক্ষী কেন হবে? আমাদের সুস্পষ্ট দাবি, সরকার বইমেলা আয়োজনের জন্য বাংলা একাডেমিকে চার কোটি টাকা বরাদ্দ করবে। তখন আর কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের দ্বারস্থ হতে হবে না। এতে স্টলভাড়া কমিয়ে প্রকাশনাশিল্পকে একটি প্রণোদনা দেওয়া হবে। সরকার (সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়) এর আগে তিন দিনের ঢাকা লিট ফেস্টকে দুই কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us