পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তানীতি এবং উপমহাদেশ

কালের কণ্ঠ জয়ন্ত ঘোষাল প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০২২, ১০:২০

পাকিস্তান জাতীয় নিরাপত্তানীতির ওপর একটি নথি সম্প্রতি গ্রহণ করেছে। গত ১৪ জানুয়ারি ইসলামাবাদে ইমরান খান এই নীতি ঘোষণা করেছেন। মূল রিপোর্টটির ৬২ পাতা  unclassified। ২০২১-এর ২৮ ডিসেম্বর ইসলামাবাদের ফেডারেল ক্যাবিনেট এই জাতীয় নিরাপত্তা দলিলটি গ্রহণ করেছে।


এই নথিতে বলা হয়েছে যে ২০২২ থেকে আগামী পাঁচ থেকে সাত বছর এটি অবিচল থাকবে। প্রয়োজনে ক্যাবিনেট এটির সংশোধন করতে পারে। যদি সে রকম পরিস্থিতির দাবি ওঠে। এই উপমহাদেশে এই নথি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। শুধু এই উপমহাদেশে নয়, আমেরিকা এবং চীনেও এ নিয়ে বিশেষ আলোচনা শুরু হয়েছে। কারণ পাকিস্তান অতীতে কখনোই এ ধরনের কোনো জাতীয় নিরাপত্তানীতি গ্রহণ করেনি। এই নথিতে যা বলা হয়েছে অর্থাৎ যেটুকু প্রকাশিত হয়েছে তার ভিত্তিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারত এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ব্যক্ত করেনি। বাংলাদেশ এ ব্যাপারে কোনো কথা বলেনি।


এটা খুব ভালো করে জানা প্রয়োজন যে ভারত এই নথি নিয়ে কী ভাবছে। ভারতের সাধারণ মানুষ এটা নিয়ে যতটা না আলোচনা করছে তার চেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের নর্থ ব্লক, সাউথ ব্লকের অলিন্দে অলিন্দে। কূটনীতিক এবং রাজনৈতিক নেতৃত্ব নিঃসন্দেহে বিচার-বিশ্লেষণ করছে। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের নেতৃত্বে ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজারি বোর্ড বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছে। এই রিপোর্টের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি কথা হলো, সেখানে কিন্তু পাকিস্তান ভারত সম্পর্কে কী বলছে। ভারতের সম্পর্কে পাকিস্তানের বিরোধ সুবিদিত। কারগিল যুদ্ধ ধরলে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের চার-চারবার যুদ্ধ হয়েছে। সুতরাং কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের যে অবস্থান তাতে কোনো পরিবর্তন হয়নি। কিন্তু এতৎসত্ত্বেও এ রকম একটা নথিতে পাকিস্তান কিন্তু লিখেছে যে পাকিস্তানের ইচ্ছা ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নতি সাধন করা। এই একটিমাত্র বাক্য কিন্তু  এই নথিতে রাখার একটা বিশেষ তাৎপর্য আছে বলে অনেকেই মনে করছেন। তার কারণ ভারতের উল্লেখ এই নথির পঞ্চম অধ্যায় রয়েছে। সেখানে ১৪ বার ভারতের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু বেশির ভাগ মন্তব্যই যথেষ্ট নেতিবাচক।


ভারত কখনো প্রত্যাশাও করে না যে তাদের জাতীয় নিরাপত্তা নথিতে পাকিস্তান ভালো ভালো কথা বলবে। ভারতের বেশ কিছু কূটনীতিক, এমনকি পাকিস্তানে কাজ করেছেন ডেপুটি হাইকমিশনার হিসেবে, ভারতের ডিপ্লোম্যাট টি সি এ রাঘবন বলেছেন, এটাও কিন্তু লক্ষ করার বিষয় যে পাকিস্তান যে নিরাপত্তানীতি ঘোষণা করেছে সেটা শুধু ভারতকেন্দ্রিক নয়। অর্থাৎ ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ করা তার সঙ্গে একটা সম্পর্ক সেটা কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে বা না হবে সেটা নিয়ে কিন্তু আলোচনা করার জন্য এই নথিটা তৈরি হয়নি। পাকিস্তান গোটা বিশ্বের দেশগুলোর সঙ্গে কী সম্পর্ক স্থাপন করবে এই নথিতে সেটা নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করেছে। যেহেতু গোটা পৃথিবী এখন নানা রকমের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে আর এই করোনা পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক বিপন্নতা পৃথিবীকে নতুন করে ভাবাচ্ছে, সেখানে এই রাঘবনের মন্তব্য কিন্তু যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us