দুর্গেও দুর্বল জাতীয় পার্টি

সমকাল প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০২২, ১১:৪৯

সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জেলা রংপুরকে বলা হয় জাতীয় পার্টির দুর্গ। তবে সেই দুর্গেও এখন ভালো অবস্থানে নেই দলটি। মতভেদ দূর করে স্থানীয় নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হলেও নির্বাচনগুলোতে এর কোনো প্রতিফলন নেই। বরং দিন দিন পরিস্থিতি বেহাল হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রংপুরের সাত উপজেলার সবক'টি ইউনিয়নে প্রার্থীও দিতে পারেনি দলটি।


রংপুরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর চেয়ারম্যান পদ নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়। জি এম কাদের নাকি রওশন এরশাদ দলের হাল ধরবেন- এ নিয়ে ঢাকা এবং রংপুরের নেতাকর্মীরা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েন। রওশন এরশাদের সমর্থক মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ এমপির অনুসারী নেতাকর্মীরা রওশন এরশাদের পক্ষে আওয়াজ তোলার চেষ্টা করেন। অন্যদিকে রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি, সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ও জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব, মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসিরের নেতৃত্বে রংপুরে দলের সংখ্যাগরিষ্ঠরা জি এম কাদেরকে চেয়ারম্যান না করলে আন্দোলনের হুমকি দেন। বিক্ষোভ মিছিল করে কেন্দ্রীয় নেতাদের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় রংপুর থেকে। দলে ভাঙনের শঙ্কায় ও নেতাকর্মীদের তোপের মুখে কোণঠাসা রওশনপন্থিরা জি এম কাদেরকে চেয়ারম্যান হিসেবে সমর্থন দেন। এরপর রংপুরে এসে জি এম কাদের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করেন।


এক সময় রংপুর বিভাগের দু-একটি ছাড়া সব আসনই ছিল জাতীয় পার্টির দখলে। কিন্তু দিন দিন কর্তৃত্ব হারাতে বসেছে দলটি। বর্তমানে বিভাগের আট জেলার ৩৩টি সংসদীয় আসনের মধ্যে সাতটিতে সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির। তারা হলেন নীলফামারী-৩ আসনে রানা মো. সোহেল, নীলফামারী-৪ আসনে আহসান আদেলুর রহমান, লালমনিরহাট-৩ আসনে দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের, রংপুর-১ আসনে মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ, রংপুর-৩ আসনে রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদ, কুড়িগ্রাম-২ আসনে পনির উদ্দিন আহমেদ, গাইবান্ধা-১ আসনে ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। উপজেলা নির্বাচনে শুধু পীরগাছা উপজেলায় আবু নাসের মো. মাহবুবার রহমান লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। বাকিগুলোতে লাঙ্গলের শোচনীয় পরাজয় ঘটেছে। সাম্প্রতিক সময়ে রংপুরের আটটি উপজেলার মধ্যে সাতটিতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হয়েছে। এর মধ্যে শুধু গঙ্গাচড়া উপজেলায় দলের প্রার্থীরা আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে আটটিতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী দিয়েছিল। এর মধ্যে লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নে আব্দুল্লাহ্‌ আল হাদী, নোহালী ইউনিয়নে আশরাফ আলী, কোলকোন্দ ইউনিয়নে আব্দুর রউফ বিজয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া বাকি উপজেলায় ইউপি নির্বাচনে কোনো প্রার্থী দিতে পারেনি দলটি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us