নির্বাচন কমিশন আইন নিয়ে কথা

কালের কণ্ঠ আবদুল মান্নান প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০২২, ১১:৪৪

দেশের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলে এই সময়ের আলোচিত বিষয় নির্বাচন কমিশন আইন। এরই মধ্যে আইনের খসড়া মন্ত্রিপরিষদে পাস হয়েছে। প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে, আইনমন্ত্রী আজ এটি সংসদে উত্থাপন করবেন। সব কার্যপ্রণালী মেনে সংসদের এই অধিবেশনে আইনটি পাস হয় কি না সেটাই এখন দেখার বিষয়।


সব ঠিক থাকলে আগামী ২০২৩ সালের শেষের দিকে দেশে একটি সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা আছে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ সামনের মাসে শেষ হয়ে যাবে। নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক সংস্থা। সেটি গঠন করার দায়িত্ব একান্তভাবে রাষ্ট্রপতির। সব সময় তিনি এই কমিশন এককভাবে গঠন করেছেন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান একটি রেওয়াজ চালু করেছিলেন। কমিশন গঠন করার আগে তিনি দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলতেন। তাদের পরামর্শ শুনতেন। জিল্লুর রহমানের প্রয়াণের পর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদও এই রীতি বজায় রেখেছেন। তিনিও নির্বাচন কমিশনে তালিকাভুক্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশন গঠন বিষয়ে তাদের মতামত জানার জন্য। রাষ্ট্রপতির ডাকে সাড়া দিয়ে অনেক রাজনৈতিক দল তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেলেও বিএনপিসহ বাম ঘরানার দলগুলো রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে সাড়া দেয়নি।


অনেকেই বলেন, নির্বাচনের আগেই নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সংবিধানে যে আইনের কথা উল্লেখ আছে, সেই আইনটি আগে করা হোক। বিশ্বের অনেক দেশে এমন আইন আছে। আবার এজাতীয় আইন নেই এমন দেশের সংখ্যাও কম নয়। তবে একটি আইন থাকলে তা কমিশন গঠনে সহায়ক হয়। তবে এটাও সত্য যে আইন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করলেই যে নির্বাচন ভালো হবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। একটি নির্বাচন ভালো হবে কি না তা নির্ভর করে রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা আর নির্বাচন কমিশনের ওপর। সংবিধানে তাদের অনেক ক্ষমতা দেওয়া আছে। তারা যদি এই ক্ষমতা সঠিকভাবে ব্যবহার করে, তাহলে যেকোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হতে বাধ্য।


নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়ন নিয়ে কারো কোনো দ্বিমত নেই। তবে যে আইন ৫০ বছরে হয়নি, তা করাটা সময়সাপেক্ষ। কয়েক দিন আগে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে আইন প্রণয়নের বিষয়টি রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করে। এর পরদিন নির্বাচন কমিশন আইনের একটি খসড়া মন্ত্রিপরিষদে পাস হয়। বর্তমানে রাষ্ট্রপতি যে পদ্ধতিতে (বিভিন্ন দলের সঙ্গে আলোচনা করে) নির্বাচন কমিটি গঠন করেন এই খসড়া অনেকটা একই রকম। আইনের খসড়া আজ সংসদে উত্থাপিত হলে তার ওপর আলোচনা হবে, এরপর তা সংসদীয় কমিটিতে যাবে। সেখানে তা বিচার-বিশ্লেষণ করে আবারও সংসদে পেশ করা হবে। এই সংসদে তা পাস হতেও পারে আবার না-ও পারে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us