বাংলাদেশে রোজার মাসে ইফতারে খেজুরের জনপ্রিয়তা এবং চাহিদা বিপুল। সেখানে একটা সময় পর্যন্ত দেশি খেজুরের চেয়ে বেশি আদরণীয় ছিল বিদেশি খেজুর, বিশেষ করে সৌদি আরব থেকে আসা খেজুর।
কেবল রোজার মাসকে উপলক্ষ করে টনকে টন খেজুর আমদানি হত প্রতি বছর। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে সেই সৌদি আরবের বিভিন্ন জাতের খেজুর বাংলাদেশেই চাষ হচ্ছে।
স্থানীয়ভাবে চাষিদের কাছে এসব খেজুর 'আরবি খেজুর' বা 'সৌদি খেজুর' নামে পরিচিত। স্থানীয় বাজার এবং সুপার শপে এখন বছরজুড়ে এই খেজুর পাওয়া যায়।’
আরবি খেজুর কী আর কেমন?
বাংলাদেশে এক সময় সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ, পাকিস্তান এবং ভারত থেকে খেজুর আমদানি হত। ভারতের মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূমে চাষ হওয়া খেজুরটি দেশি খেজুরের চেয়ে মাংসল ও মিষ্টি হত।
কিন্তু বাজারে জনপ্রিয় ছিল মধ্যপ্রাচ্যের খেজুরের কয়েকটি জাত। কিন্তু এগুলো বছরে একটি নির্দিষ্ট সময়ে পাওয়া যেত এবং সেটি দামী হবার কারণে সবার নাগালে ছিল না।
পৃথিবীতে প্রায় এক হাজারের বেশি খেজুরের জাত রয়েছে, এর মধ্যে সৌদি আরবে চারশো'র বেশি জাতের খেজুর উৎপাদন হয়। বাংলাদেশে জনপ্রিয় জাতের মধ্যে আজওয়া, বেরহি, সামরান, জাহেদি, মরিয়ম, আনবারাহ, আসমাউলহাসনা, ইয়াবনি অন্যতম। এর মধ্যে আজওয়া, বেরহি এবং মরিয়ম জাতের খেজুর বেশি চাষ হচ্ছে।