অগ্নিকাণ্ডের প্রকোপ

যুগান্তর সম্পাদকীয় প্রকাশিত: ১২ জানুয়ারি ২০২২, ০৮:৩৫

গত কয়েক দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সবশেষ গত সোমবার বিকালে চট্টগ্রাম নগরীর কর্নেলহাট সিটি গেট এলাকায় একটি ফার্নিচারের কারখানায় আগুনে পুড়ে দুজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এর আগের দিন রোববার কক্সবাজারে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১২০০ বসতি পুড়ে গেছে।


রাজধানীতেও সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। প্রতিটি অগ্নিকাণ্ডের কারণ যে ভিন্ন ভিন্ন তাতে সন্দেহ নেই। সাধারণত শুষ্ক মৌসুমে অগ্নিকাণ্ডের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় সামান্য আগুনের স্পর্শ পেলেই তা যে কোনো স্থানে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। এটা ঘটতে পারে মূলত অসতর্কতার কারণে। তারপরও প্রতিটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনারই সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। কেননা ঘটনার কারণ সঠিকভাবে চিহ্নিত করা না গেলে যথাযথ প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয়।


অগ্নিকাণ্ড যেভাবেই ঘটুক, তা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কারণ হয়। অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে। কাজেই এ ব্যাপারে প্রত্যেকেরই সতর্ক থাকা দরকার। বস্তুত প্রতিটি অগ্নিকাণ্ডই মানুষের জন্য সতর্কবার্তা রেখে যায়। অগ্নিকাণ্ড এড়াতে প্রথমেই যে বিষয়টির ওপর নজর দেওয়া প্রয়োজন তা হলো, ভবনে পর্যাপ্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া। এক্ষেত্রে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকাই যথেষ্ট নয়, সেসবের ব্যবহার জানা কর্মী এবং তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ থাকাও জরুরি। ভবনে কোনোভাবেই যেন বিপজ্জনকভাবে দাহ্য পদার্থ রাখা না হয়, কর্তৃপক্ষকে এটাও নিশ্চিত করতে হবে। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের মাধ্যমে এ ব্যাপারে নিয়মিত তদারকির ব্যবস্থা থাকতে হবে। প্রত্যেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের প্রথম কর্তব্য হলো অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া। আর পরবর্তী কর্তব্য হলো অগ্নিকাণ্ড ঘটে গেলে তা মোকাবিলার ব্যবস্থা নেওয়া। প্রাথমিকভাবে এ ব্যবস্থা প্রতিটি ভবনেই গড়ে তোলা দরকার।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us