যখনই পরিবহন খাতে জনমানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়া মর্মান্তিক কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, তখনই কর্তৃপক্ষের অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও অযোগ্যতার হতাশাজনক একটি চিত্র উন্মোচিত হয়।
সেটা কোনো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাই হোক কিংবা লঞ্চ অথবা ফেরিডুবি বা সড়ক অথবা রেল দুর্ঘটনা, এগুলোর প্রতিটিই যখন জনসাধারণের আলোচনার বিষয়স্তু হয়ে ওঠে তখনই কেবল নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো দৃশ্যপটে হাজির হয়। এ ক্ষেত্রে তদন্ত কমিটি গঠনেও তারা সময় নেয় না।
প্রকৃতপক্ষে ওই কমিটি কিছু অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা তুলে আনে এবং কিছু সুপারিশ করে। কিন্তু আরেকটি বড় ঘটনা আবার না ঘটা পর্যন্ত সেগুলো ভুলে যাওয়ার জন্য তোলা থাকে।
মজার বিষয় হচ্ছে, বেশির ভাগ দুর্ঘটনার পর দায়ী চালক কিংবা মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় এবং কিছু ক্ষেত্রে সরকারি সংস্থারগুলোর নিম্ন স্তরের কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।