বিপ্লবের এমন আকস্মিক প্রস্থানে গোটা পরিবারের চোখে তখন অন্ধকার। ভবিষ্যতের দিনগুলো নিয়ে নানা অনিশ্চয়তা। শতবর্ষের কাছাকাছি অসুস্থ বৃদ্ধ বাবা, গৃহিণী স্ত্রী, দুটি নাবালক ছেলে নিয়ে একদম রোজগারবিহীন শূন্য পরিবারের পাশে দাঁড়ায় তখন প্রথম আলো। হাসপাতালের বিল পরিশোধ থেকে শুরু করে সন্তানদের লেখাপড়া চালানোর মোটামুটি ব্যবস্থা পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে সহযোগিতা আর ভালোবাসার হাত প্রসারিত করে প্রথম আলো আমাদের পাশে থেকেছে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এ বছর বিপ্লব ছিল না। প্রথম আলো পরিবার ভুলে যায়নি তাদের এ সদস্যকে। বাসায় এসেছে তারা, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর খরচ থেকে কিছুটা সাশ্রয় করে সে অর্থ তুলে দিয়েছে এতিম দুই সন্তান ও তার বিধবা স্ত্রীর হাতে।
করোনাকালে দেশের অনেক সংবাদমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে বেতন-ভাতা আটকে যাওয়াসহ নানা সংকটের কথা আমরা শুনেছি। সেখানে প্রথম আলো বন্ধুর মতো, ভাইয়ের মতো, অভিভাবকের মতো এভাবে আমাদের পাশে থাকায় আমরা অভিভূত। আমাদের গোটা পরিবার কৃতজ্ঞ বিপ্লবের প্রতিষ্ঠান, সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি।