আত্মহত্যা করতে চাওয়া ফেসবুক পোস্ট নিয়ে যা বললেন মোস্তাফা জব্বার
প্রকাশিত: ০৩ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘মন চাইছে আত্মহত্যা করি। একটি চেকে আমি ডিসেম্বর বাংলায় লিখেছি বলে কাউন্টার থেকে চেকটি ফেরত দিয়েছে। কোন দেশে আছি?’ মন্ত্রীর এই পোস্টকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে তিনি পোস্টটি দেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি গণমাধ্যমকে জানান, মন্ত্রী তার পরিচিত একজনকে একটি বেয়ারার চেক দিয়ে একটি ব্যাংকের এলিফ্যান্ট রোড শাখায় জমা দিতে বলেন। তবে চেকে ‘ডিসেম্বর’ বানানটি বাংলায় লেখা থাকায় ওই শাখার কাউন্টার থেকে চেকটি প্রথমে ফেরত দেয়া হয়। পরে ওই ব্যক্তি বাসায় ফিরে মন্ত্রীকে বিষয়টি জানান। মন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে নিজে ব্যাংকের ওই শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেন। এরপর শাখাটি পুনরায় চেকটি অনার করে।মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমার হিসাব ব্যাংকটির মতিঝিলের প্রিন্সিপাল শাখায়। আমি চেকে বরাবরই মাসের নাম বাংলায় লিখি। কিন্তু প্রিন্সিপাল শাখায় এ নিয়ে কোনো সমস্যা হয়নি। এবারের চেকেও আমি তারিখটি লিখেছি “০২ ডিসেম্বর, ২০২১”। এটি ছিল বেয়ারার চেক। যাকে চেকটি দিয়েছি, তিনি ব্যাংকটির এলিফ্যান্ট রোড শাখায় জমা দিতে গিয়ে প্রথমে ব্যর্থ হন মাসের নাম বাংলায় লেখার কারণে। পরে আমি যোগাযোগ করায় চেকটি অনার হয়। তবে ওই ব্যাংকটির নাম জানাতে রাজি হননি মন্ত্রী।এ নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠানকে খাটো করতে এই স্ট্যাটাস দিইনি। ভাষার মর্যাদা রক্ষায় এটি করেছি। কারণ, বাংলাদেশই একমাত্র ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্র। ভাষার জন্যই এই রাষ্ট্রের জন্ম। আগে প্রযুক্তিগত দিক থেকে বাংলা কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও এখন সেই অবস্থা নেই।তবে পোস্টটি সম্পাদনা করেছেন মন্ত্রী। এতে লিখেছেন, আজ সকালে এক?টি চেকে আমি “ডিসেম্বর” বাংলায় লিখেছি বলে কাউন্টার থেকে চেকটি ফেরত দিয়েছিলো। এরপর সব ঠিক হয়েছে। এটা আমাদেরই বাংলাদেশ। প্রমাণিত হলো ন্যায়সঙ্গত প্রতিবাদ করলে জয়ী হওয়া যায়। সেই চেকের টাকা ভাঙানো হয়েছে। জয় বাংলা।ওই পোস্টের কমেন্টে মন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাংকের নিয়মে বাংলা বিরোধিতার কিছু নেই। এটা ঐ শাখার কিছু লোকের মানসিকতা। কেউ এমন অবস্থায় পড়লে অবশ্যই প্রতিবাদ করবেন। আমি পাশে আছি।’