ব্যাটিং ব্যর্থতায় বিশ্বকাপ রাঙাতে পারেনি বাংলাদেশ। সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ফিরে এসেছে শূন্য হাতে। পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ব্যর্থতার বৃত্ত ভেদ করতে দলে অনেক পরিবর্তন এনেছেন বিসিবি নির্বাচকরা। বাদ পড়েছেন লিটন দাস, সৌম্য সরকার কিংবা মুশফিকুর রহীমের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা। এক ঝাঁক তরুণদের কাঁধে ভর করে নতুন শুরুর অপেক্ষায় থাকা টাইগার বাহিনীর টপ অর্ডার ব্যর্থ হলো আবারও। শেষে আফিফ-সোহানদের ব্যাটে ভর করে পাকিস্তানকে ১২৮ রানের টার্গেট দিলো বাংলাদেশ। নির্ধারিত ২০ ওভার খেলে ৭ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে বাজে শুরু করেন মোহাম্মদ নাঈম। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই উইকেট হারান তিনি। হাসান আলীর উইকেটে পরিণত হওয়ার আগে জড়ো করেন মাত্র ১ রান। দলীয় ১০ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এবার ১ রানে ফেরেন অভিষিক্ত সাইফ হাসান। পাঁচ রান জড়ো করতে আরও একটি উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। এবার সাজঘরের রাস্তা মাপেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ক্রিজ ছাড়ার আগে ১৪ বলে ৭ রান করেন তিনি।অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও সুবিধা করতে পারেননি। ১১ বলে ৬ রান করে মোহাম্মদ নওয়াজের বলে বোল্ড হন তিনি।দলীয় সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন আফিফ হোসেন। ৩৪ বলের ইনিংসটিতে ২টি করে চার-ছক্কা হাঁকান তিনি।এছাড়া দুই অঙ্কের কোঠা ছুঁয়েছেন নুরুল হাসান সোহান (২৮) ও মেহেদী হাসান (৩০*)।পাকিস্তানের হাসান আলী ৪ ওভার করে ২২ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। দুই উইকেট পান মোহাম্মদ ওয়াসিম। একটি উইকেট নেন মোহাম্মদ নওয়াজ।