সিলেটে আরিফকে আসাদের খোঁচা

মানবজমিন প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০

‘আওয়ামী বিরোধী’ বক্তব্য নিয়ে সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর কঠোর সমালোচনা করেছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ। ‘আক্রমণাত্মক’ সমালোচনার পর অনেকটা চুপ হয়ে যান মেয়র আরিফুল। পরবর্তীতে ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা শিশুপার্ক’ উদ্বোধনের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সামনে প্রসঙ্গটি তুলে এনেছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন। জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সুজাত আলী রফিকও মন্ত্রী পরিবারের সঙ্গে আরিফুল হক চৌধুরীর সখ্যতার বিষয়টিও তুলেছিলেন। আওয়ামী লীগ নেতাদের একের পর এক অ্যাটাকেও অনড় মেয়র আরিফ। আওয়ামী লীগ নেতাদের আহ্বান প্রত্যাহার করেননি। এই অবস্থায় ফের সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সমালোচনা করলেন আসাদ উদ্দিন আহমদ। এবার প্রসঙ্গ ভিন্ন। সেটি হচ্ছে; সিলেটের মশার উৎপাত। শীত মৌসুম শুরু হতে না হতেই সিলেটে মশার উৎপাত বেড়েছে। এ নিয়ে মেয়রের কর্মকাণ্ডের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। একই সঙ্গে নগরবাসীর দুর্ভোগ কমাতে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি। যদিও এই মুহূর্তে সিলেটে ডেঙ্গুর প্রকোপ নেই, এরপরও মশা নিয়ে সিলেটের মানুষের দুশ্চিন্তার অন্ত নেই। সিলেট সিটি করপোরেশন থেকে মশার ওষুধ ছিটানো কার্যক্রম চলছে। এরপরও মশার উৎপাত বেড়েই চলেছে। গণমাধ্যমে প্রেরিত বিজ্ঞপ্তিতে আসাদ উদ্দিন আহমদ বলেছেন- ‘মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সিলেট নগরবাসীর জনজীবন। রাতে তো বটেই, দিনেও মশার আক্রমণ থেকে তারা রক্ষা পাচ্ছেন না। বাসাবাড়ি, অফিস-আদালত, অভিজাত এলাকা থেকে শুরু করে সর্বত্র মশা দাপিয়ে  বেড়াচ্ছে।’ মশা নিধনে সিলেট সিটি করপোরেশনের উদ্যোগের সমালোচনা করে তিনি বলেন- ‘দুঃখজনক হলেও সত্য, মশানিধনে সিলেট সিটি করপোরেশনের  কোনো উদ্যোগ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। পাড়া-মহল্লায় মাঝে মাঝে বিকট শব্দের ফগার  মেশিনে ওষুধ ছিটানো হলেও শব্দ দূষণ ব্যতীত তেমন কোনো কাজ হচ্ছে না। মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংস না করে এভাবে ধোঁয়া দিয়ে মশা নিধন করা যে সম্ভব নয়, তা ইতিমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। তাছাড়া যেসব ওষুধ ছিটানো হয়, তাতে ভেজাল রয়েছে বলেও বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ উঠেছে। মশক নিধনে সিলেট সিটি করপোরেশনের বাজেটের কথা উল্লেখ করে আসাদ বলেন- ‘সিটি করপোরেশনে মশা নিধনের জন্য বিরাট অঙ্কের টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এসব অর্থের যথাযথ ব্যবহার না হওয়ার বিষয়টি নিয়েও বিভিন্ন সময়ে পত্র-পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তাতে যে কোনো লাভ হয়নি বা হচ্ছে না; তা মশানিধন কার্যক্রমে  শৈথিল্য থেকে বোঝা যাচ্ছে। ফলে, সিলেট নগরবাসীর জনজীবনে অন্যান্য সমস্যার মধ্যে এটিও এখন একটি মারাত্মক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ তিনি বলেন, সিলেট সিটি করপোরেশন একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা এই প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কাজ। কিন্তু ইদানীং লক্ষ্য করা যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার পরিবর্তে অন্যান্য কাজ নিয়ে ব্যতিব্যস্ত রয়েছে।’ মশক নিধনে সিটি করপোরেশনের ব্যর্থতার প্রসঙ্গ তুলে ধরে আসাদ বলেন- ‘শীতের সময় সাধারণত মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পায়। এ সময় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় মশার উৎপত্তিস্থল হিসেবে পরিচিত ড্রেন, নর্দমা ও জলাশয়গুলোতে পানির ধারা থাকে না।  নোংরা পানি জমে থাকায় তা মশার প্রজনন  ক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ বিষয়টি সকলেরই জানা। এ সময় যদি এগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সচল রাখা হয়, তবে মশা নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়ে যায়। কিন্তু, সেবামূলক প্রতিষ্ঠান সিটি করপোরেশন এ কাজটি করতে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে।’
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us