গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার তালুকজামিরা গ্রামে শেয়ালের আক্রমণে ইতিমধ্যে মারা গেছেন গ্রামের এক ব্যক্তি, আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ থেকে ৩০ জন। মানুষ দেখলেই হামলে পড়ছে জন্তুটি। থাবায় ক্ষত-বিক্ষত হচ্ছে চোখ-মুখ। এমন ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে ঐ এলাকায়। মনোহরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জানান, বিষয়টি তার কানে এসেছে। বিশেষ করে এলাকার নারী পুরুষ শিশুরা এখন আর একা ঘরের বাহিরে যেতে পারে না। মাস দেড়েক আগে মাঠে ঘাস কাটতে যান পলাশবাড়ী উপজেলার তালুকজামিরা গ্রামের এক কৃষক। হঠাৎ করে তার উপর লাফিয়ে পড়ে শেয়াল। নাক-মুখ রক্তাক্ত করে পালিয়ে যায় শেয়ালটি। পরে তাকে উদ্ধার করে নেয়া হয় জেলা সদর হাসপাতালে। সেখান থেকে পাঠানো হয় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার পর জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ১৮ দিন পর মারা যান রুকু নামের ওই কৃষক। এর মধ্যে আরও কয়েকটি আক্রমণে অনেকে আহত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ময়না বেগম বলেন, আমরা শেয়ালের ভয়ে সন্ধ্যার আগেই বাহিরের কাজ শেষ করি। কোথাও গেলেও লাঠি হাতে খুব সতর্ক অবস্থায় যেতে হয়। আর শিশুদের কথাতো বলাই যায়না। শিশুরা এখন লাঠি হাতে গ্রাম পাহারা দেয়। এ ব্যাপারে গ্রামের লোকজন প্রতিকার চেয়ে হরিণাবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির তদন্তকারী অফিসার মোহাম্মদ রাকিব হোসেন বলেন, বিষয়টি তিনি জেনেছেন। শেয়ালের আক্রমণ থেকে কীভাবে রক্ষা পাওয়া যাবে সে বিষয়ে তিনি গ্রামের মানুষের সাথে মতবিনিময় করেছেন। পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামানের কাছে গ্রামবাসীরা প্রতিকার চেয়েছেন। তিনি বলেন, শেয়াল খাবার খোঁজে বের হয়ে মানুষকে আক্রমণ করে। এখন মাঠে ভরা ধান। সে কারণে শেয়ালগুলো মারাও যাচ্ছে না। এ অবস্থায় তিনি ওই গ্রামের মানুষকে সতর্কভাবে চলাচলের পরামর্শ দিয়েছেন।