সকাল ছয়টা। রেস্তোরাঁতে ঢুকতে বেশ লম্বা লাইন। প্রাতরাশের জন্য সব রেস্তোরাঁতেই সকালে ভিড় একটু বেশি। বার্লিন সব সময়ই পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। কাজের তাগিদেও আমার মতো প্রচুর লোক আসে। করোনার টিকা দেওয়া থাকলে জার্মানিতে আসতে এখন আর তেমন কোনো বিধিনিষেধ নেই। তারপরও এত ভিড় হবে ভাবিনি।
রেস্তোরাঁর পাশেই স্প্রি নদী। নদী দেখা যায় এমন একটি টেবিলে আমি বসলাম। আমার পাশের টেবিলেই সত্তরোর্ধ্ব এক দম্পতি। চোখাচোখি হতেই হাসি দিয়ে ‘শুভ সকাল’ বললেন ভদ্রলোক। প্রথম দিনে আলাপ আর বাড়েনি। পরের দিন সকালে প্রাতরাশের সময় আবার দেখা। আমেরিকার ফিলাডেলফিয়া থেকে এসেছেন ঘুরতে। জার্মানি হয়ে যাবেন ইতালি আর স্পেনে। দুজনেই নিয়মিত ঘুরে বেড়ান। করোনার কারণে অনেক দিন কোথাও যেতে পারেননি। বিধিনিষেধ শিথিল হতেই বেরিয়ে পড়েছেন। বললেন, দুজনে হেঁটে সারা দিন বার্লিন ঘোরেন, মানুষ দেখেন, মিউজিয়ামে যান। দুপুর আর রাতের খাবার বাইরেই খান। রাতে হোটেলে ফেরেন ঘুমোতে।